চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) উদ্যোগে চলতি বছরেই দেশে চালু হতে পারে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। স্বর্ণের বার ও কিছু কৃষি পণ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারে দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জটি।
আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএসই’র চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এই তথ্য জানিয়েছেন। অনলাইন প্ল্যাটফরম জুমে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে সিএসই’র পরিচালক ছিদ্দিকুর রহমান, মেজর এমদাদুল হক (অব), ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা না থাকায়, ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের (এমসিএক্স) কাছ থেকে এ বিষয়ে জ্ঞান ও কারিগরি সহায়তা নেবে সিএসই। এ লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে একটি চুক্তি সই হবে।
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজারমূল্যে স্থিতিশীলতা থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা হবে। ভোক্তা, ক্রেতা-বিক্রেতা বা বিনিয়োগকারী-সবার জন্য এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এমন আশার কথা তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
উল্লেখ, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জের মতোই একটি কেনা-বেচার প্ল্যাটফরম। স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। আর কমোডিটি মার্কেটে কেনাবেচা হয় জ্বালানি তেল, স্বর্ণ, কৃষিপণ্যসহ নানা ভোগ্য পণ্য। তবে এসব পণ্য সরাসরি ক্রেতা-বিক্রেতার সামনে সরাসরি উপস্থিত রাখা হয় না। এসব পণ্য থাকে গুদামে। এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে এসব পণ্যের মালিকানা বদল হয় শুধু। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশেও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ আছে।
বাংলাদেশে ভোগ্য পণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর বিষয় নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এমন একটি এক্সচেঞ্জ চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। সিএসইর আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চলতি বছরের মার্চ মাসে শর্তসাপেক্ষে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য সিএসইকে অনুমতি দেয়।