রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে দেশের শেয়ারবাজারে সৃষ্ট পতনরোধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বৈঠকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় অ্যাসেট ম্যানেজাররা। যে আশ্বাসের পরের কার্যদিবস বড় উত্থান দেখল দেশের শেয়ারবাজার। এছাড়া ফান্ড ম্যানেজারদের পর্যবেক্ষনে উঠে আসা অবমূল্যায়িত হওয়া মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে দেখা গেছে।
ওইদিন বিএসইসির কার্যালয়ে সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) এর সভাপতি ড. হাসান ইমামের নেতৃত্বে তার সংগঠনের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে শেয়ারবাজারের চলমান সমস্যা কাটিয়ে তুলতে অ্যাসেট ম্যানেজারদের সহযোগিতা চায় কমিশন এবং তারাও এগিয়ে আসার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে অ্যাসেট ম্যানেজারদের পক্ষে এএএমসিএমএফ এর সভাপতি ড. হাসান ইমাম বলেন, অনেক মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার এখন অবমূল্যায়িত হয়ে গেছে। ফলে এখন ওইসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া যাবে। এই সুযোগকে কাজে লাগাবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এজন্য তারা চলতি সপ্তাহে তাদের হাতে থাকা অর্থ দ্রুত বিনিয়োগ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
এএএমসিএমএফ এর সভাপতি ড. হাসান ইমামের ওই আশ্বাসের পরে আজ শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৭.৫৯ পয়েন্টের মতো বড় উত্থান হয়েছে। এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধি।
এক শীর্ষ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তা বলেন, কমিশনকে আশ্বস্ত করার পরে আজ অনেক মিউচ্যুয়াল ফান্ডে থাকা নগদ অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। যা আজকের উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া ফান্ড ম্যানেজাররা কমিশনকে দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ি ধাপে ধাপে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
এদিকে আজকের ৯৭.৫৮ পয়েন্ট দর বৃদ্ধিতে অ্যাসেট ম্যানেজারদের পর্যবেক্ষনে উঠে আসা অবমূল্যায়িত মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। যেসব শেয়ারে ফান্ড ম্যানেজাররা বিনিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাদের মতে, ওইসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যাবে।
এদিন ৯৭.৫৮ পয়েন্ট উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে মৌলভিত্তির কোম্পানি গ্রামীণফোন। এ কোম্পানির ৫.৬০ টাকা দর বৃদ্ধিতে মূল্যসূচক বেড়েছে ১৩.৬২ পয়েন্ট। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কারনে ৭.৬১ পয়েন্ট, লাফার্জহোলসিমে ৬.৩২ পয়েন্ট, রবিতে ৫.০৩, স্কয়ার ফার্মায় ৩.৫৫ পয়েন্ট, বেক্সিমকোতে ৩.৩৭ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রীডে ২.২৮ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মায় ২.২১ পয়েন্ট, সামিট পাওয়ারে ২.০৫ ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেভরে ১.৮০ পয়েন্ট বেড়েছে।