1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
শীর্ষ দুই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

শীর্ষ দুই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়

  • পোস্ট হয়েছে : শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ ফেব্রুয়ারি-৩ মার্চ) শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, সোনালী পেপার, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সাইফ পাওয়ারটেক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং ড্রাগন সোয়েটার। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে শীর্ষ লেনদেনের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুই কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ দেখিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি দর বৃদ্ধিতেও এগিয়েছিল কোম্পানিগুলো। কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড ও সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি দুটির ১টি কোম্পানি মোটামুটি মৌল ভিত্তির হলেও অপরটি দুর্বল মৌলের। মৌলভিত্তির বেক্সিমকো লিমিটেড বরাবরের মতো লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে আছে।

দুর্বল মৌলের সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস ওটিসি থেকে ছাড়া পেয়ে মূল মার্কেটে এসেই কারসাজিকারিদের কবলে পড়েছে। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন কৃত্রিমভাবে দেখানো হচ্ছে।

কোম্পানি দুটির মধ্যে লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩৭৭ কোটি ৪০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০.০৮ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৫২ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ১.৬৭ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম কার্যদিবস শেয়ারটি পতনে ছিল। পরের তিন দিন বেড়েছে। তিন দিনে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ৩.৩৮ শতাংশ। শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে পতন প্রবণতার মধ্যেও কোম্পানিটির শেয়ারদর মাত্র ১০ পয়সা কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) বেক্সিমকোর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫২ টাকা ৪০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৮.৭৯ পয়েন্টে।

সাপ্তাহিক তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। কোম্পানিটির ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১১২ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৭১৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭৫৬ টাকা ৮০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা বা ৫.৩৩ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে। শুধুমাত্র চতুর্থ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারদর সামান্য কমেছে। শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজার পতন প্রবণতার মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। মুনাফা বেড়েছে পৌনে সাত গুণের বেশি।
কোম্পানিটি মুনাফায় এত বড় উল্লম্ফনের খবর আসার দিন থেকেই শেয়ারটি পতনে রয়েছে। এর কারণ হলো, একদিকে কোম্পানিটির অবিশ্বাস্য মুনাফায় বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করতে পারেনি। যে কারণে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি হয়নি।

অন্যদিকে, কোম্পানিটির আকাশচুম্বী মুনাফা প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই এর শেয়ারদর আকাশে তোলা হয়েছে। যে কারণে মুনাফার চমক আসার দিন থেকেই শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের কাঁধে চাপানোর পাঁয়তারা চলছে। এরই প্রক্রিয়ার প্রতিদিনই কোম্পানিটির লেনদেনে চমক দেখানো হচ্ছে। ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন দেখানো হচ্ছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটির প্রতি আকৃষ্ট হয়।

এদিকে, কোম্পানিটির গত দুই আর্থিক বছরের প্রতিবেদনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছেও অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। এই কারণে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে বিএসইসি নতুন একটি নিরীক্ষা ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে। খবরটি বাজারে আসার পর শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। এখন শেয়ারটির কারসাজিকারিরা নিজেরা নিজেরাই বড় বড় লেনদেন করছে।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৫৬ টাকা ৮০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৩২.৪৩ পয়েন্টে।

পিই রেশিও ৪০-এর নিচে থাকার পরও কোম্পানিটির শেয়ারটিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিচ্ছে না। কারণ তারা কোম্পানিটিকে বিনিয়োগের জন্য বড় ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ