1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
দুই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

দুই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়

  • পোস্ট হয়েছে : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ ফেব্রুয়ারি) শীর্ষ লেনদেনের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুই কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ দেখিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি দর বৃদ্ধিতেও এগিয়েছিল কোম্পানিগুলো। কোম্পানিগুলো হলো- ড্রাগন সোয়েটার ও সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি দুটিই দুর্বল মৌলের। উভয় কোম্পানির শেয়ারই কারসাজিকারিদের কবলে পড়েছে। যে কারণে কোম্পানি দুটির শেয়ার লেনদেন কৃত্রিমভাবে দেখানো হচ্ছে।

কোম্পানি দুটির মধ্যে ড্রাগন সোয়েটার ছিল লেনদেন তালিকায় অষ্টম স্থানে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৯০ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫৫ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ২২.৮৪ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম কার্যদিবস শেয়ারটি পতনে ছিল। শেষের তিন দিন বেড়েছে। শেষের তিন দিনে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা বা ২০.৬০ শতাংশ। শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় পতনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৬৮ পয়সা।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৫.০৮ পয়েন্টে।

সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় দশম স্থানে উঠে এসেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৭ লাখ ৮ হাজার ২১৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৭১২ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭১৮ টাকা ৫০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ০.৮০ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম দুই কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ার পতনে ছিল। শেষের দুই দিন বেড়েছে। শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় পতনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। মুনাফা বেড়েছে পৌনে সাত গুণের বেশি।

কোম্পানিটি মুনাফায় এত বড় উল্লম্ফনের খবর আসার দিন থেকেই শেয়ারটি পতনে রয়েছে। এর কারণ হলো, একদিকে কোম্পানিটির অবিশ্বাস্য মুনাফায় বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করতে পারেনি। যে কারণে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি হয়নি।

অন্যদিকে, কোম্পানিটির আকাশচুম্বী মুনাফা প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই এর শেয়ারদর আকাশে তোলা হয়েছে। যে কারণে মুনাফার চমক আসার দিন থেকেই শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের কাঁধে চাপানোর পাঁয়তারা চলছে। ফলে শেয়ারটির দর পতন প্রবণতায় রয়েছে।

এদিকে, কোম্পানিটির গত দুই আর্থিক বছরের প্রতিবেদনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছেও অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। এই কারণে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে বিএসইসি নতুন একটি নিরীক্ষা ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে। খবরটি বাজারে আসার পর শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীরা সতর্কতা অবলম্বন করছে।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭১৮ টাকা ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৩০.৭৮ পয়েন্টে। পিই রেশিও ৪০-এর নিচে থাকার পর কোম্পানিটির শেয়ারে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেয় না।

অন্যন্য সিকিউরিটি হাউজের মতো মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ হাউজও সোনালী পেপারের শেয়ারকে মার্জিনযোগ্য শেয়ারে তালিকা থেকে বাদ রেখেছে।

সোনালী পেপার শেয়ারকে মার্জিনযোগ্য বা ঋণযোগ্য না করার কারণ হিসাবে সিকিউরিটি হাউজটির এক কর্মকর্তা শেয়ারনিউজকে বলেন, কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত মুনাফা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। যে কারণে আমরা নিরীক্ষিত মুনাফায় এর পিই রেশিও হিসাব করছি। কোম্পানিটির নিরীক্ষিত মুনাফা রয়েছে ৪ টাকা ৮৯ পয়সা। সেই হিসাবে সর্বশেষ দর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়ায় ১৪৭ পয়েন্ট। যা বিনিয়োগের জন্য অবশ্যই বড় ঝুঁকিপূর্ণ।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ