গরমের মৌসুমে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও শীতের মৌসুমে নামমাত্র বিক্রি হয় আইসক্রিম। তবে শীতের মৌসুমে আইসক্রিমের চাহিদা না থাকলেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ারের দাম সর্বশেষ ৯ কার্যদিবসে ১৬.১০ টাকা বা ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। বাজারের একটি বড় বিনিয়োগকারীর পরোক্ষ মদদে এ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েই চলেছে। যা বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে লাভেলো আইসক্রিম কোম্পনির সচিব একেএম জাকারিয়া হোসাইন বলেন, শীতকালে আমাদের বিক্রি অনেকটা কমে যায়। আয়ও কমে যায়। বাজারের শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোম্পানির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শীতকালে সাধারণত আইসক্রিম বিক্রি কম হয়।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ১৫ টাকা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এরপর বিদায়ী বছরের ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৩.৪০ টাকায় দাঁড়ায়। অর্থাৎ ২২০ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার দর ২৩.৪০ টাকা বা ২৩৪ শতাংশ বেড়েছে। আর গত ৩০ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩৩.৬০ টাকায়। যা ১২ জানুয়ারি ৪৯.৭০ টাকায় দাঁড়ায়। অর্থাৎ এই ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৬.১০ টাকা বা ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়াকে অস্বাভাবিক দাবি করে বিনিয়োগকারী আনিসুজ্জামান বলেন, এখন তো আর শেয়ারবাজার আগের মতো নেই। কখন কোন কোম্পানির শেয়ার দর বাড়বে বা কমবে তা বোঝা কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, কোম্পানিটির পণ্য এই সময়ে বিক্রি নেই বললেই চলে। অথচ শেয়ার দর হুহু করে বাড়ছে।
হুমায়ুন কবির নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, হুহু করে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছে তাদের প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর বাড়ানো দরকার। যখন একটা কোম্পানির শেয়ার দর টানা বাড়তেই থাকে তখন এর পেছনের কারণগুলো অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অন্যগুলোর শিক্ষা হতো। তাছাড়া আমাদের বিনিয়োগকারীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে।