শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফাইন ফুডসের ২০২০-২১ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবে বিভিন্ন অনিয়ম খুজেঁ পেয়েছে নিরীক্ষক। এরমধ্যে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়া, আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) লঙ্ঘন এবং আয়কর আইন অমান্য করার মতো ঘটনা রয়েছে। যাতে করে কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) করেছে নিরীক্ষক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ উৎসে কর কেটে রেখেছেন। কিন্তু তা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আয়কর আইন লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে অর্থের অপব্যবহাররোধে কর্মীদের মাসিক বেতন ও সম্মানি ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশির ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনের বেশি অনেক কর্মীকে নগদে বেতন প্রদান করেছে। এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০০ (১) লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এই ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ কর্মীদের মাঝে বিতরন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। অথচ আইন অনুযায়ি প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরন করার বিধান রয়েছে।
এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ক্যাপিটাল স্টক হিসেবে আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৪১ লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। তারা বাজার মূল্যের পরিবর্তে ব্যয় মূল্যে ওই সম্পদ দেখিয়েছে। যে কারনে নিরীক্ষক ওই সম্পদের পরিমাণ জানতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফাইন ফুডসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৯৩.৬২ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (২৮ নভেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৩৬.৯০ টাকায়।