শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ক্রয় হিসাবে গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণ টাকার পরিমাণ কাচাঁমাল ক্রয় করেছে বলে উল্লেখ করেছে, তার সঙ্গে ভ্যাট রিটার্নের মিল পায়নি নিরীক্ষক। যাতে করে কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সিমটেক্স কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে কাচাঁমাল ক্রয় দেখিয়েছে ৮৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার। কিন্তু মুসক-৯.১ (ভ্যাট রিটার্ন) এ ৬৪ কোটি ৩ লাখ টাকা ও ৩ কোটি ৬ লাখ টাকার পন্য পথিমধ্যে দেখানো হয়েছে। এ হিসেবে মোট ৬৭ কোটি ৯ লাখ টাকার ক্রয় করা হয়েছে। ফলে ক্রয় হিসাবে ভ্যাট রিটার্নের সঙ্গে ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার পার্থক্য দেখা দিয়েছে।
এদিকে অর্থের অপব্যবহারে ক্রয় ও ব্যয়ের অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করে অ্যাকাউন্ট পেঅ্যাবল চেকের পরিবর্তে নগদে প্রদান করেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। অথচ স্বচ্ছতা ও অর্থের অপব্যবহাররোধে নগদ লেনদেনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তারা ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে মোট ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে। এরমধ্যে ২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকাই নগদ উত্তোলন করা হয়েছে। যা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর নির্দেশনার ব্যত্যয়।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের কাছে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণের দায় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা রিটেইন আর্নিংসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৭.৩১ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (২৭ নভেম্বর) শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৫.৪০ টাকায়।