গতকাল সোমবার (০৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে গত ১০ বছরে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৯৯ শতাংশ দুর্বল। এর মধ্যে অনেক কোম্পানি আছে, এক বছরের মধ্যে ফেসভ্যালুর নিচে শেয়ারমূল্য চলে এসেছে। যারা প্রিমিয়াম নিয়েছিল, অনেক কোম্পানি প্রিমিয়ামের নিচে চলে এসেছে।’
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
আবু আহমেদ বলেন, ‘ওয়ালটন বর্তমানে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মার্কেটের ৫০ শতাংশ দখল করে রেখেছে। যেসব কোম্পানির বেচা-কেনা নেই, এরকম ১০টি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করে লাভ নেই।
এছাড়া যেসব কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে, বেচা-বিক্রি বেশি রয়েছে, তাদেরকে শেয়ারবাজারে আনতে হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে ওয়ালটনের তালিকাভুক্তিকে আমি সমর্থন করি।
তিনি বলেন, ’১৫-২০ বছর আগে শেয়ারবাজারকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থেকে কখনো গুরুত্ব দেওয়া হতো না। কিন্তু এখন শেয়ারবাজারকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।’
শেয়ারবাজারের এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘বর্তমানে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থায় থাকলেও, এটা স্থির নয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নিয়ে যদি বাজারকে খুব ভালো করা হয়, তবুও সেটা দীর্ঘ সময়ের জন্য না। সূচক-লেনদেন অনেক বেড়ে গেলেও সেটা ভালো শেয়ারবাজার নয়।’
আইপিও প্রসঙ্গে আবু আহমেদ বলেন, ‘আইপিও অনুমোদনে বিএসইসিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। কারও চাপে নমনীয় হয়ে আইপিও অনুমোদন দেওয়া যাবে না।
আমি আশা করি, এই কমিশন শক্ত হয়ে দাঁড়াবে। ভালো ভালো কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন দেবে। এ কাজের জন্য কমিশনে একটি গবেষণা কেন্দ্র রাখতে হবে। এখান থেকে ভালো ভালো কোম্পানিগুলো যাচাই-বাছাই করবে। এই কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে কী কী কাজ করতে হবে, তারা সেটা দেখবে।’