শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিলামে কাট-অফ প্রাইস ৩৫ টাকা নির্ধারন হয়েছে। ৭২ ঘন্টার নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত দরের আলোকে এই দর নির্ধারন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে এই কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনের জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় নিলাম শুরু হয়। যা শেষ হয় ২৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায়।
এছাড়া কোম্পানিটির নিলামে সর্বনিম্ন ১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন অংশ গ্রহণকারীরা। সবচেয়ে বেশি ৪৩ জন ২৫ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন।
এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ জন ৪০ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন।
এতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে ২৩৯ বিডার মোট ২০৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার দর প্রস্তাব করেছেন।
এনার্জিপ্যাকের ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৮৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এজন্য তাদের মধ্যে মোট ইস্যু করা হবে ২ কোটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৬টি শেয়ার। আর আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্যও একই পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করা হবে।
এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৩৪তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫.১৫ টাকা এং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতিত) দাঁড়িয়েছে ৩০.২০ টাকায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.১৩ টাকা।
আরো উল্লেখ্য, বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।