প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ১১ টাকায় লেনদেন শুরু হয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) সকালে দেশের ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়।
লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১ টাকা বেড়ে ১১ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ১১ বার হাতবদল হয়ে কোম্পানিটির ১৫৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার ৫ কোটি ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৬৩০টি শেয়ার কেনার আদেশ পড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী লেনদেনের প্রথম ৩০ দিন কোম্পানির শেয়ার কিনতে মার্জিন ঋণ না দিতে স্টক ব্রোকার্স ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্সদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘এন ’ক্যাটাগরিভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ডিএসইতে কোম্পানি কোড-“SONALILIFE” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে – ২৫৭৫১।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে আইপিওতে আবেদনকারীরা সর্বনিম্ন ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। কোম্পানির আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারী ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তারাই ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা ৩৪টি, ৩০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৫১টি, ৪০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তাদের ৮৫টি শেয়ার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যারা ৫০ হাজার টাকার বেশি আবেদন করেছে তারা গুণিতক হারে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
গত ২১ জুন সকাল ১১টায় ডিএসই টাওয়ারে ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সোনালী লাইফের আইপিওর শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।