আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার মঙ্গলবার (২৯ জুন) শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
নতুন নিয়মে আইপিওতে আবেদনকারীরা সর্বনিম্ন ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। কোম্পানির আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারী ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তারাই ১৭টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ২০ হাজার টাকা আবেদনকারীরা ৩৪টি, ৩০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৫১টি, ৪০ হাজার টাকার আবেদনকারীরা ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছে তাদের ৮৫টি শেয়ার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যারা ৫০ হাজার টাকার বেশি আবেদন করেছে তারা গুণিতক হারে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
গত ২১ জুন সকাল ১১টায় ডিএসই টাওয়ারে ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সোনালী লাইফের আইপিওর শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
গত ০৯ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫২তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।