আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলাকালে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার জানিয়েছেন, সোমবার (২৮ জুন) থেকে সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলবে। এ সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। আগামীকাল শনিবার কঠোর লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
কঠোর লকডাউনে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে কি না, জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে। তবে, সেটা ব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে। ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। তবে কোনো দেশেই শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকেনি। এর আগের লকডাউনেও আমাদের পুঁজিবাজার খোলা ছিল। তাই, এবারও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকার আশঙ্কা নেই। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই।’
তবে এর আগে কখনো ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটেনি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ব্যাংক।
এরপর গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন দেয়ার পরও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকে। আর ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন দেয়ার পর প্রথমে ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত জানালেও পরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্টো ব্যাংকের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।
তখন থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে থাকলে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে প্রায় স্বাভাবিক সময়ে নিয়ে আসা হয়।
একইভাবে পুঁজিবাজারের লেনদেনও সীমিত পরসরে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যাংকের লেনদেন বৃদ্ধির সাথে পুঁজিবাজারের লেনদেনও বৃদ্ধি করা হয়। এক পর্যায়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়।