শেয়ারবাজারে টানা ১৩ সপ্তাহ উত্থানের পর সর্বশেষ সপ্তাহ (২০-২৪ সেপ্টেম্বর) পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। বিগত সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা আগের সপ্তাহে থেকে বাজার মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি ফিরে পেয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজার মিলে ১৭ হাজার ২১৪ কোটি ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা শেয়ারবাজারে ফিরে এসেছে। আর আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ফিরেছিল ১৪ হাজার ১১১ কোটি ২২ লাখ ৬২ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে ৩ হাজার ১০২ কেটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা বা ২১.৯৮ শতাংশ বাজার মূলধন ফিরেছে।
এদিকে ডিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩২ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫১ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ফিরেছে ৯ হাজার ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বা ২.৩৩ শতাংশ।
আর সিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিব লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬২৯ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে বাজার মূলধন ফিরেছে ৮ হাজার ১৯৫ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা ২.৫৮ শতাংশ।
বিগত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৫৭৩ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬১ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার ২৪৩ টাকা বা ১৮.৮৩ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৬৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ২১ হাজার ৬৩৬ টাকার ।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৯১৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২১২ কোটি ৩২ লাখ ১০ লাখ ১০ হাজার ২৪৮ টাকা কম হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৫.৮৮ পয়েন্ট বা ২.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭৮.৭৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৬.৭৬ পয়েন্ট বা ৩.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬০.৪১ পয়েন্ট বা ৩.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৬.৩০ পয়েন্টে এবং ১৭০১.১৯ পয়েন্টে।
এছাড়া সপ্তাহটিতে ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির বা ৩৪.৮১ শতাংশের, কমেছে ২২৪টির বা ৬২.৩৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির বা ২.৭৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিগত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৭৫ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৪ টাকা বা ২৪.৭৫ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৫৪.৪৭ পয়েন্ট বা ২.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২১৯.২৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২২৮.০৮ পয়েন্ট বা ২.৬০ শতাংশ, সিএসইর-৩০ সূচক ৩৭৪.৭৫ পয়েন্ট বা ৩.০৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩৯.১৪ পয়েন্ট বা ৩.৬৮ শতাংশ এবং সিএসআই ২৩.৪২ পয়েন্ট বা ২.৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৫২৮.৮৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৯১৩.৬৯ পয়েন্টে, ১০২৩.৪৫ পয়েন্টে এবং ৯১৯.২৫ পয়েন্টে।
এছাড়া সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৩টির বা ৩৪.৭৫ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৯২টির বা ৫৯.০৭ শতাংশের কমেছে এবং ২০টির বা ৬.১৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।