এক বছর ধরে ভালো-খারাপ সব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির যে প্রবণতা বিমা খাতে দেখা গেছে, একই চিত্র এবার বস্ত্র খাতে। যেসব কোম্পানির লভ্যাংশ দেয়ার মতো ক্ষমতা নেই, সেগুলোর দামও বাড়ছে। এমনকি বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে যাচ্ছে।
৯ মাসে ১০ টাকার শেয়ারে ৪ টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দেয়া সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ১১ টাকা ২০ পয়সায় কেনার লোকই ছিল কম। গত ৭ এপ্রিল এই কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের পরদিনই দাম কমে প্রায় ১০ শতাংশ। শেয়ার কেনার লোকও ছিল না।
২৯ এপ্রিল দাম ৯ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে যাওয়ার পর কোনো এক কারণে দাম বাড়তে থাকে। আর ১ জুন থেকে বাড়তে থাকে অবিশ্বাস্য হারে। মাত্র ১১ কার্যদিবসে আড়াই গুণ দাম হয়ে গেছে বিপুল লোকসানি এই কোম্পানিটির।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জুলাইয়ে পুঁজিবাজার চালু হলে বিমা খাতের শেয়ারে এই ধরনের উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিল। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংশোধনের পর আবার এই খাতে যাচাইবাছাই ছাড়া দাম বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে যায়। দুই সপ্তাহ ধরে দাম আবার কমছে। বেশি দামে কিনে এখন ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা। বিমার শেয়ারের দর পতনের মধ্যে আবার একই রকমভাবে বস্ত্র খাতেও যাচাইবাছাই ছাড়া দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
৩০ জুন অর্থবছর শেষে যেগুলো ভালো মুনাফা করবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেগুলোর পাশাপাশি লোকসানি, বন্ধ, আর কখনও চালু হওয়া নিয়ে সংশয় আছে, এমন সব কোম্পানির দামও বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে সাফকোর দামই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। জুন মাসের ১৬ কর্মদিবসেই দাম বাড়ল ১৮ টাকা ১০ পয়সা, বা ১৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত দুই বছরেও কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য এত ছিল না।
এই কোম্পানিটি তা-ও চালু আছে। কিন্তু বন্ধ থাকা সিএনএ টেক্সটাইল, তুংহাই নিটিং, ফ্যামিলি টেক্স, তাল্লু স্পিনিং, মিথুন নিটিংয়ের মতো বন্ধ; অলটেক্স, জেনারেশন নেক্সট, আর এন স্পিনিংয়ের মতো লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়তে শুরু করেছে।
পুঁজিবাজারে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা কার ও শেয়ারপ্রতি আয়ের দিক থেকে এগিয়ে থাকা ব্যাংক খাত যখন ঝিমাচ্ছে, ইউনিটপ্রতি বিপুল পরিমাণ আয় করে ভালো লভ্যাংশের আভাস দেয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম যখন তলানিতে, বেশ ভালো আয় করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের ভালো শেয়ারগুলো নিয়ে যখন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, সে সময় বস্ত্রের এসব দুর্বল কোম্পানির দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় কারসাজির আভাসই পাচ্ছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘বিমা খাতের যখন শেয়ারের দর বাড়ছিল তখন ভালোমন্দ সব কোম্পানিরই শেয়ারদর বেড়েছে। বস্ত্রের ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে।’
যারা শেয়ার কিনছেন, তাদের জন্য বিষয়টি ঝুঁকি তৈরি করবে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘তারা বাছাই করে ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনে না। যখন কোনো খাতের শেয়ারদর বাড়তে থাকে তখন ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর আগেই অনেক বেড়ে যায়। বরং খারাপ কোম্পানিগুলোর দর পিছিয়ে থাকে। বিনিয়োগকারীরা তখন সেসব কোম্পানিতে আগ্রহী হয়।’
জেড ক্যাটাগরির এসব শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ এই কারণে যে, এগুলো কেনার পর চার কার্যদিবস পর বিও হিসাবে যোগ হয়। বিক্রি করতে পারবে এর পর। আর যদি এই সময়ে দাম কমে যায়, তাহলে বড় লোকসানে পড়তে হয় বিনিয়োগকারীদের।
দেবব্রত কুমার সরকার বলেন. ‘পুঁজিবাজার এখন যে অবস্থায় আছে তাতে খারাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করেই বিনিয়োগকারীরা ভালো মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
লোকসানি কোম্পানিতেও জোয়ার
সিএনএ টেক্সটাইল
লোকসান থেকে ফেরাতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটির বোর্ড পুনগঠন করে। এর মধ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম এই কোম্পানিটি আদৌ চালু হবে কি না, সে বিষয়ে তার সংশয়ের কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
তারপরও দুই সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
৭ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে হয়েছে ৪ টাকা।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০১৫ সালে। এবং ২০১৬ সালের পর কোম্পানিটির লভ্যাংশ দেয়ার আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিবেদন সর্বশেষ জমা দিয়েছে ২০১৭ সালে। ওই বছরের ১ মে হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং
২০১৭ সালের পর আর্থিক হিসাব না দেয়া বন্ধ এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ার কোনো যৌক্তির কারণ থাকার কথা নয়। কিন্তু বাড়ছে।
৮ জুন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। শতকরা হিসাবে দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এই কোম্পানিটিকেও আবার চালু করতে বোর্ড পুনর্গঠন করেছে বিএসইসি। তবে এর কোনো অগ্রগতি নেই এখনও।
ইভেন্স টেক্সটাইল
তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১৪ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারদরও বাড়ছে। ১ জুন শেয়ারদর ছির ৮ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার সেটি দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
সেখান থেকে এক মাসে ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
জাহিন টেক্সটাইল
সবশেষ ২০১৮ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবারও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না, এটা বলাই যায়। বছরের তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ারপ্রতি এখন লোকসান ২ টাকা ৫২ পয়সা।
কিন্তু বাড়ছে এই কোম্পানির শেয়ারদরও। ৩ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬ টাকা, সেখান থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা। এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
ফ্যামিলিটেক্স
বোর্ড পুনর্গঠন করে আবার চালু করা নিয়ে সংশয়ে থাকা দ্বিতীয় কোম্পানি এটি। এর মালিকপক্ষ বিনা ঘোষণায় শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এই কোম্পানিটি চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে তারা সন্দিহান এবং সিএনএ এবং ফ্যামিলিটেক্সের মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার চিন্তা করছেন তারা।
এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেও কোম্পানির শেয়ারদর থেমে নেই। ৯ জুন ২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দাম বেড়ে ৩ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টাকার অঙ্কে ৭০ পয়সা বাড়লেও সেটি ২৫ শতাংশ।
২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে। তারপরও আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের মধ্যে এখন মাত্র ৪ দশমিক ০২ শতাংশের মালিক কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। অথচ বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখতে হবে মালিকপক্ষ।
এই কোম্পানির ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
হামিদ ফেব্রিক্স
লোকসানি এই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইস ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হতো না বললেই চলে। গত ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের পর দাম কমতে কমতে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে।
১ জুন দাম ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এর মধ্যে কোম্পানিটির বছরের তিন প্রান্তিকের আয়ের তথ্য চলে এসেছে। ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দেয়া এই কোম্পানিটিরও লভ্যাংশ দেয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল
২০১২ সালের পর কেবল ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, বন্ধ থাকা কোম্পানিটি ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ২৯ পয়সা।
৩ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি মঙ্গলবার দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সায়। এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৭৯ পয়সা। কিন্তু শেয়ারের দামে হঠাৎ আগ্রহ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটির লভ্যাংশ অনিশ্চিত।
১ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে এখন দাম হয়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সা।
তাল্লু স্পিনিং
২০১৫ সালের পর থেকে লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে না পারা বন্ধ এই কোম্পানিটি ২০১৯ সালের পর থেকে কোনো হিসাবও দিচ্ছে না। অদূরভবিষ্যতে আবার সেটি চালু হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় আছে।
এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেও শেয়ারদর বাড়ছে কোম্পানিটির। গত ২৩ মে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা আর ৯ জুন ৪ টাকা ৮০ পয়সা। সেটির দাম এখন ৫ টাকা ৯০ পয়সা।
এক মাসে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৪ শতাংশ আর দুই সপ্তাহে ২৩ শতাংশ।
জাহিন স্পিনিং
২০১৯ সালের পর লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটি নয় মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। শেষ দিন মাসে অভাবনীয় কোনো মুনাফা করতে না পারলে লভ্যাংশ দেয়া অনিশ্চিত বলাই যায়।
কিন্তু অনিশ্চয়তার মধ্যে দাম বৃদ্ধি থেমে নাই। গত ৮ জুন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা। দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।
মিথুন নিটিং
সবশেষ ২০১৬ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানির মালিকরা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে চাইছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। বন্ধ থাকা কোম্পানিটি চলতি বছর তিন প্রান্তিক শেষে লোকসানে আছে এক টাকা ২৩ পয়সা।
গত ৯ জুন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ১১ টাকা। এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
লোকসানে থাকা কোম্পানিটি সর্বশেষ তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ২০১৯ সালে মার্চে। সে সময় শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে।
রিজেস্ট টেক্সটাইল
তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৯২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দেখে বোঝার উপায় নেই যে এর লভ্যাংশ বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।
গত ৮ জুন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে দুই সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।
জেনারেল নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড:
২০১২ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৮ সালের পর শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ পয়সা মুনাফা করে লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি তিন পয়সা লোকসান দিয়েছে।
লভ্যাংশ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই শেয়ারদর বাড়তে শুরু করেছে। ৮ জুন শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা। এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
ঢাকা ডাইং
গত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫১ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার পর গত বছরের মার্চ থেকেই বাড়তে থাকে। আইনি জটিলতায় ২০১৮ সাল থেকে লভ্যাংশ ঘোষণা না করা কোম্পানিটি সম্প্রতি তিন বছরের জন্য লভ্যাংশ একবারে ঘোষণা করেছে।
আর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই কোম্পানির শেয়ারদরে দেখা দেয় উল্লম্ফন। ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১৬ পয়সা মুনাফা করে ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া কোম্পানিটি ২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ১০ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ৪ টাকা ২৫ পয়সা লোকসান দিয়েছে। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার পর কিছুটা দাম কমলেও এখনও বিপুল পরিমাণ লোকসানি কোম্পানির হিসাবে দাম অনেক বেশি।
কোম্পানিটির দাম মঙ্গলবার দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা ১ জুন ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত ২৮ মার্চ দাম ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে দাম এখন ১৩১.৫০ শতাংশ বেশি।
আরএন স্পিনিং
লোকসানের কারণে ২০১৮ সালের পর লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ১৬ পয়সা। এবারও লভ্যাংশ পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন।
৮ জুন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন ৫ টাকা ৩০ পয়সা। এই কয় দিনে দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
অলটেক্স ইন্ডার্স্টিস লিমিটেড
২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে না পারা কোম্পানিটি চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ১১ পয়সা লোকসান দিয়েছে। এই কোম্পানির শেয়ার বিপুল আগ্রহের কোনো যৌক্তির কারণ থাকতে পারে না। কিন্তু দাম বেড়েছে।
৩ জুন কোম্পানিটির দাম ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।