1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পুঁজিবাজারের দুর্বল শেয়ার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পুঁজিবাজারের দুর্বল শেয়ার

  • পোস্ট হয়েছে : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১
share

ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে পুঁজিবাজার। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে এ সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল তথা ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানির শেয়ার। এসব কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দুর্বল। ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত। নেই সন্তোষজনক শেয়ারপ্রতি আয় ও সম্পদ। তারপরও এসব শেয়ারদর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

প্রতিদিনই এসব কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে, যা নজর এড়ায়নি সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ডিএসই ও বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্টদের। এ কারণে তারা এসব কোম্পানির শেয়ারদর কেন বাড়ছে, সেদিকে নজর রেখেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে শেয়ারদর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছে ডিএসই, যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো ‘দর বৃদ্ধির কোনো সংবেদনশীল তথ্য নেই ’এমন গৎবাঁধা উত্তর দিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে জেনারেশন নেক্সট, ইমাম বাটন, জুট স্পিনার্স, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, শ্যামপুর সুগার, তাল্লু স্পিনিং, তুংহাই নিটিং, এমারাল্ড অয়েল, জিল বাংলা সুগারসহ বেশিরভাগ ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে ফেরা কোম্পানিগুলো। এগুলো হচ্ছে মনোস্পুল পেপার, পেপার প্রসেসিং ও তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল। মূল মার্কেটে ফেরার পর থেকে টানা বাড়ছে এসব কোম্পানির শেয়ারদর।

আর্থিক বিবেচনায় দুর্বল হলেও পুঁজিবাজারে সব সময় এ ধরনের কিছু কোম্পানির আধিপত্য দেখা যায়। আর না-জেনে না-বুঝে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাই এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগ পরিহার করতে পরমর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা।

তাদের অভিমত, বছরের বেশিরভাগ সময় বাজারে কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে। সে তুলনায় বাড়ছে না মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দর। দ্রুত লাভের জন্য কারসাজিকারীরা সাধারণত এ ধরনের শেয়ার বেছে নেন। ফলে কিছু লোক এখান থেকে লাভবান হলেও বেশিরভাগের পুঁজি হারানোর ঝুঁকি থাকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজার এখন ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে গেলে বিনিয়োগকারীরাও বাজারে ফিরে আসেন, এটা ভালো খবর। তবে তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, তারা যেন কোনো ধরনের ভুল না করেন। কারণ এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার থেকে অনেকে সুযোগ নিতে চান।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন অনেক ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের দর ক্রয়যোগ্য রয়েছে। দুর্বল কোম্পানির দিকে না ঝুঁকে তারা যদি কোম্পানি দেখেশুনে বিনিয়োগ করতে পারেন, তাহলে তারা ভালো ফল আশা করতে পারবেন।’ তবে কোনোভাবেই না জেনে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না।

একই প্রসঙ্গে ডিএসইর পরিচালক বলেন, ‘আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে সচেতন হয়েছেন। ফলে তাদের উচিত হবে না অন্য কারও কথায় বা গুজবে কান দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করা। ইনভেস্ট করার আগে তাদেরই ঠিক করতে হবে, তারা যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন, সেটা ঝুঁকিমুক্ত কি না। সিদ্ধান্ত ভুল হলে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে।’ তিনি বিনিয়োগকারীদের মৌলভিত্তির কোম্পানির সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সুযোগসন্ধানীরা ওত পেতে থাকে। এ সময় অনেকেই তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। কথাটি বিনিয়োগকারীদের মাথায় রাখা উচিত। কারণ যার পুঁজি, নিরাপদ রাখার দায়িত্ব তারই।’

এদিকে এ ধরনের দুর্বল কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি সন্দেহজনক মনে করে কোম্পানিগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসইসি। কোন হাউস থেকে বেশি বেশি শেয়ার কেনা-বেচা হচ্ছে, বা কে বা কারা এসব লেনদেন করছেন, তা সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারিতে রেখেছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। এ প্রসঙ্গে বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে, শুধু এসব কোম্পানিই নয়, আমরা সার্বিক বাজার পর্যবেক্ষণে রেখেছি। কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ