দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৬-৩ জুন) লেনদেন বেড়েছে আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৮.৮১ শতাংশ। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ২১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দর কমেছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইক্স ১৩.২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০৬৬.৬৪ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ১.৫১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০৫.১০ পয়েন্টে। ডিএসই শরীয়া সূচক ৬.৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৯.৪৮ পয়েন্টে।
বাজার মূলধন ৯৯৩ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৭ কোটিতে।
কিন্তু আগের সপ্তাহের তুলনায় সব কিছুর পরিবর্তন হলেও মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)-এর কোন পরিবর্তন হয়নি। এটি পুঁজিবাজারে স্বরণকালের মধ্যে বিরল ঘটনা। এর আগে সব সূচক ও মানদন্ডের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পিই রেশিও বদলায়নি- এমন ঘটনা ঘটেনি।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৮.৪৮ পয়েন্ট। যা সপ্তাহ শেষেও ১৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সব কিছুর অগ্রগতি হলেও পিই রেশিওর কোন অগ্রগতি হয়নি। এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়েছে পিই রেশিও।
যাহোক, সপ্তাহশেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫৬ পয়েন্টে। যা পুঁজিবাজারে সার্বিক পিই রেশিওকে আলোকিত করছে।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পিই রেশিও ২২.০১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩.৯০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৩২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.১২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৬.৬৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৬০.২৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৯.৭৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৭১ শতাংশ, চামড়া খাতের ৮৪.৯০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১৪.৪৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪২.৯৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৮০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৯৭.১৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.৫১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২০.৪৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৮.৪৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।