শেয়ারবাজারে তালিকাভুকক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার নিয়ে ফের কারসাজি শুরু হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার দর গত ২৩ ডিসেম্বর ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমানে ২৬ টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছে। এতে দেখা যায়, এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর তিনগুণের বেশি বেড়েছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএস) মনে করেছে, কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে নতুন করে কারসাজি শুরু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ডিএসই গতকাল ২৭ জানুয়ারি কোম্পানিটির কারখানা ও হেড অফিস পরিদর্শন করে ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল। পরিদর্শনে দেখা যায়, কোম্পানিটির কারখানা ও হেড অফিস আগের মতোই বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, কোম্পানিটির শেয়ার দর সাম্প্রতিককালে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএসই বারবার কোম্পানিটির কাছে শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চিঠি পাঠায়। কোম্পানি বিলম্বে হলেও ডিএসইকে জানায়, শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে সংবেদনশীল কোন তথ্য নেই। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বিষয়ে বিভিন্ন হাউজে তথ্য নিতে শুরু করেছে ডিএসই।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা। তারপর ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কারসাজি করে শেয়ারটির দর ৬০ টাকায় তোলা হয়। এরপর শেয়ারটিতে টানা পতন দেখা যায়। যা গত ১২ ডিসেম্বর শেয়ারটি ৭ টাকা ২০ পয়সায় নামানো হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের পর থেকে খুলনা প্রিন্টিং কোন বার্ষিক সাধারণ সভা করছে না এবং শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন তথ্যও দিচ্ছে না।
এদিকে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ও কর ফাঁকির অভিযোগে উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা চালু রয়েছে।
এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিককালে কোন কারণ ছাড়াই খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা বিএসইসির নজরে রয়েছে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানির শেয়ার নিয়েই আর কারসাজি করে পার পাওয়া যাবে না। বিলম্বে হলেও এর যথাযথ তদন্ত হবে, শাস্তি হবে।