1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
৫৬ কোটি টাকার ঋণের জন্য নিলামে উঠছে হামিদ ফেব্রিক্সের সম্পদ
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

৫৬ কোটি টাকার ঋণের জন্য নিলামে উঠছে হামিদ ফেব্রিক্সের সম্পদ

  • পোস্ট হয়েছে : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হামিদ ফেব্রিক্সের ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বকেয়া ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংক এশিয়ার কোম্পানিটির সম্পদ নিলাম ঘোষণা করেছে।

গত সপ্তাহে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী ক্রেতাদের ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্য কোটেশন জমা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নিলামে নরসিংদীতে অবস্থিত কারখানা ভবন ও যন্ত্রপাতিসহ ২৯৬.৫০ ডিসিমেল জমি রয়েছে, যার সবগুলোই হামিদ ফেব্রিক্সের মালিকানাধীন।

হামিদ ফেব্রিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং আশা করছি শীঘ্রই এটি সমাধান হয়ে যাবে।

ব্যাংকটির সূত্র জানায়, কোম্পানিটি প্রথমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য ডিমান্ড লোন নেয়, যা পরে মেয়াদি ঋণে রূপান্তরিত হয়। একাধিক নোটিশ সত্ত্বেও, হামিদ ফেব্রিক্স সময়মতো ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করে ব্যাংকটি।

হামিদ ফেব্রিক্সের কারখানায় তিনটি উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। বোনা ফ্যাব্রিক ইউনিটের বার্ষিক ৩২.৪০ মিলিয়ন ইয়ার্ড উৎপাদন করার ইনস্টল ক্ষমতা রয়েছে। তাঁত ইউনিটগুলির বার্ষিক ক্ষমতা ৯.৮৮ মিলিয়ন ইয়ার্ড এবং ডাইং ইউনিটের প্রায় ১.৩৭ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামিদ ফেব্রিক্সের সম্পদের মূল্য ৫৭১ কোটি টাকা এবং ইক্যুইটি মোট ২৯৬ কোটি টাকা।

শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, হামিদের কারখানার এলাকাসহ পুরো নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অঞ্চল গ্যাস সংকটে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ কারখানাই পূর্ণ ক্ষমতায় চলতে পারছে না।

এই সমস্যাটি প্রশমিত করার জন্য কোম্পানিটি এলপিজির মতো বিকল্প শক্তির উৎসগুলিতে বিনিয়োগ করেছে। এতে তাদের পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যার ফলে কোম্পানিটির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।

হামিদ ফেব্রিক্স ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ হারে ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরে ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৬ পয়সা লোকসান করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১১ পয়সা।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ