1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের বিরল সুযোগ তৈরি হয়েছে: ডিএসই চেয়ারম্যান
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের বিরল সুযোগ তৈরি হয়েছে: ডিএসই চেয়ারম্যান

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের বাজার মূলধন এবং জিডিপির অনুপাত এই মুহূর্তে ৮ শতাংশের নিচে। আমাদের পার্শ্ববর্তী কিছু দেশে এই হার বেশ ভালো। তবে আশার কথা হচ্ছে আমরা একটি পরিবর্তনের সুবাতাস পাচ্ছি। আমরা এমন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের একটি বিরল সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ বিষয়ে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দুষ্কৃতিকারীদেরকে শাস্তি না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগী হয়েছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারাও দুষ্কৃতিকারী হয়েছেন। যার ফলে এ বাজার থেকে যারা পুঁজি সংগ্রহ করবেন বা পুঁজি জোগান দেবেন তারা আশা হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কমিশন গঠন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। রেগুলেটরি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। অতীতের অনিয়ম ও দুর্নীতিগুলো তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী যে একসঙ্গে কাজ করলে এই মার্কেটের বর্তমান দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, মার্কেট নিয়ন্ত্রণে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভ্যন্তরীণ দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। সেবা প্রদানের যে দায়বদ্ধতা সেটি নির্ধারণ করার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসন এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে হবে।

মমিনুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের বাজার ব্যবস্থায় স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ভূমিকা কি হবে সেটা নির্ধারণ করার সময় এসেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আঞ্চলিক সফল মার্কেটগুলো রয়েছে সেগুলোর অভিজ্ঞতা অনুসরণ করতে পারি। এই মুহূর্তে মার্কেট দুর্বল অবস্থায় আছে। ফলে স্বল্প সময়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেটি ভাবতে হবে।

সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন বলেন, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যেখানে আমাদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে পারস্পরিক পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে সেটি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তবে হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ