উত্থান সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ফিরে পেয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ পাঁচ কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৬৭ কোটি ৫ লাখ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৯৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্ট। এ সময়ে ৪৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ২ হাজার ১১৩ পয়েন্টে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৬৬ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে সপ্তাহ শেষে দর বেড়েছে ১৯৯টির, কমেছে ১০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৬৮টির আর লেনদেন হয়নি চারটির।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম। লেনদেনে এর পরেই ছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মোট ২৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকা বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেড। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির মোট ২৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ সিকিউরিটিজের তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে ২০৬ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৭ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ৮৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সিএসসিএক্স সূচক ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, কমেছে ৬২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭৪টির বাজারদর।