1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
ক্রেতা শূন্যে প্রায় ২ ডজন কোম্পানি
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

ক্রেতা শূন্যে প্রায় ২ ডজন কোম্পানি

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪
des-lose

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় পতন দেখেছে শেয়ারবাজার। বুধবার (০২ অক্টোবর) শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ শত কোম্পানির দর কমেছে। আর এতেই শেয়ারবাজারে এতো বড় পতন। এতো বড় পতনেও শেয়ারবাজারে মাত্র ৭টি কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা ছিল। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনার জন্য আগ্রহ ছিল না বিনিয়োগকারীদের মাঝে। ৭ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতা শূন্য হলেও প্রায় ২ ডজন কোম্পানিছিল ক্রেতা শূন্যের কিনারে।

ক্রেতা শূন্য হওয়া কোম্পানিগুলো হলো : ফু-ওয়াং ফুডস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, এসোসিয়েটেড অক্সিজেন, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং ন্যাশনাল টি।

ফু-ওয়াং ফুডস

আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় ১৩ টাকা ১০ পয়সায়। লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১১.৮৯ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৯২ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটি লেনদেন হওয়ার কিছু সময় পরই এর ক্রেতা উধাও হয়ে যায়। অর্থাৎ শেয়ারটি বিক্রির করার জন্য বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি থাকলেও কেনার জন্য কাউকেই পাওয়া যায়নি।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারের ক্লোজিং দর গতকাল ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৭ টাকায়। লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৬ টাকা ৪০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা বা ৯.৮৬ শতাংশ কমেছে। এই শেয়ারটিও লেনদেন শুরুর কিছু সময় পর ক্রেতা উধাও হয়ে যায়। শেয়ারটি বিক্রি করার জন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকলেও কেউ কিনতে আগ্রহ দেখায়নি।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন আজ ২৪ টাকা ২০ পয়সায় শুরু হয়। আগের দিন শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিল ২৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৮১ শতাংশ কমেছে। অপর দুই কোম্পানির মতো এই শেয়ার বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেক বিনিয়োগকারী। তবে শেয়ারটি কেনার জন্য কেউ ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।

আজ অন্য যেসব কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা সংকট তৈরি হয় সেগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার ৯.৭৯ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের৯.৫২ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৯.০৯ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টি’র শেয়ার দর ৮.৭৪ শতাংশ কমেছে।

ক্রেতা শূন্যের কিনারে যাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৯.১৪ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৯.০৯ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকের ৯.০৯ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ৯.০৬ শতাংশ, বিবিএস কেবলসের ৯.০৫ শতাংশ, ফরচুন সুজের ৮.৯৯ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ৮.৯৭ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৮.৯৩ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ৮.৯১ শতাংশ, সিলভা ফার্মার ৮.৭৩ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ৮.২৪ শতাংশ, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের ৮.১৩ শতাংশ, এমজেএলবিডির ৭.৯৩ শতাংশ এবং অলটেক্সের শেয়ার দর ৭.৮৭ শতাংশ কমেছে। এসব কোম্পানির শেয়ার ক্রেতা সংকটের কিনায় ছিল।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব থেকেই এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। আস্থার সংকটের কারণে শেয়ারগুলো বিক্রির চাপেই ক্রেতা সংকট সৃষ্টি হয়। বিনিয়োগকারীদের কোন কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে ভেবে চিন্তে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ