বিদায়ী সপ্তাহে (২২-২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৪৯টির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির।
দাম কমার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪টি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের কপালে ভাঁজ হয়েছে। কারণ এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের বিনিয়োগ পাঁচ ভাগের এক ভাগের বেশি উধাও হয়ে গেছে। ডিএসই ও স্টক নাও সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো-নিউলাইন ক্লথিং, খুলনা পাওয়ার, শাইনপুকুর সিরামিকস, বিবিএস, নাভানা ফার্মা, খান ব্রাদার্স, মেট্রো স্পিনিং, খুলনা প্রিন্টিং, অ্যালিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, ফু-ওয়াং ফুড, ফরচুন সুজ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, এসকে ট্রিম ও ইয়াকিন পলিমার।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ার দাম কমেছে ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর আগে সপ্তাহের ব্যাবধানে এ রকম জোট বেঁধে শেয়ার দাম কমার দৃষ্টান্ত খুব একটা দেখা যায়নি।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে খুলনা পাওয়ার, অ্যালিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, ফরচুন সুজ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, এসকে ট্রিম ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হওয়ায় শেয়ার দামে অবিশ্বাস্য দাম কমেছে। যেগুলোর দাম আগেও বড় পতন হয়েছে। এছাড়া, মেট্রো স্পিনিংয়ের উৎপাদন এক বছর বন্ধ থাকার খবরে অস্বাভাবিকভাবে দাম কমেছে।
আলোচ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক সপ্তাহে দাম কমেছে নিউলাইন ক্লথিংয়ের ২৫.০৮ শতাংশ, খুলনা পাওয়ারের ২৩.৭৮ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ২৩.৫৬ শতাংশ, বিবিএস-এর ২২.৮৬ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ২২.৮৫ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ২১.৯১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ২১.৭৪ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ২১.০৯ শতাংশ, অ্যালিম্পিক অ্যাক্সেসরিজের ২০.৮৩ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ২০.৭৯ শতাংশ, ফরচুন সুজের ২০.৩০ শতাংশ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ২০.২৮ শতাংশ, এসকে ট্রিমের ২০ শতাংশ ও ইয়াকিন পলিমারের ২০ শতাংশ।