অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থের যোগানের জন্য আমরা ব্যাংকনির্ভরতা থেকে বের হয়ে পুঁজিবাজারমুখী হতে চাই। বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক ঋণ না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবেন। অন্যান্য দেশে পুঁজিবাজার থেকেই অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়লগ’- অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৫ বছর এই ধারা চলে আসায় আর্থিক খাতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছি। এই ধারা থেকে বের হয়ে কাজ করা খুব সহজ নয়। আমরা বেশি দিন সময় পাব না, তবুও আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি এবং আগের সরকারের সৃষ্টি করা সংকটগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।’
বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হলো প্রতিটি দরজা, প্রতিটি চেয়ার, প্রতিটি টেবিল টাকা চায়। আমরা এই প্রবণতা থেকে বের হতে চাই। ব্যবসা সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি সংস্কার করে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা এনবিআর। আমরা এর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। ট্যাক্সের আইনগুলো যেনো ব্যবসাবান্ধব হয় সে উদ্যোগ নেব। ব্যবসা সহজ করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের কাজ হলো ব্যবসার বাধা দূর করে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য সংস্থাগুলোকে শুধু নিজেদের কথা ভাবলেই হবে না। রংপুরের মতো প্রন্তত অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে হবে। সব ব্যবসায়ীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আইন প্রণয়নে সহায়তা করতে হবে। কেউ যেন অস্বাভাবিক মুনাফা না করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আবার কেউ যেন পুঁজি না হারান সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।’
২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীলের মর্যাদা পেলে শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ অনেক সুবিধা হারাবে- এ আশঙ্কা প্রকাশ করে তা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।