বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে কেটেছে আগস্ট মাস। মাসটিতে একদিকে দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ তথা হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। অন্যদিকে, দেশের সংকটময় মূহূর্তে সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
যার ফলে হতাশার পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরাও আস্থার সাথে বিনিয়োগে ফিরতে শুরু করেছেন। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, সব কিছু ছাপিয়ে মাসটিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে।
সিডিবিএল সূত্রে অনুযায়ী, আগস্টের শেষ কর্মদিবস শেয়ারবাজারে বিনিয়োগাকরীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব (বিও) দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৮টিতে। জুলাইয়ের শেষ দিন এই সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে বিনিয়োগাকীদের বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ১৯০টি।
আগস্টের শেষদিন পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৭টিতে। আর জুলাইয়ের শেষদিন এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টিতে। সামগ্রিকভাবে মাসটিতে বিও হিসাব কমলেও পুরুষ বিও হিসাব ২২৩টি বেড়েছে।
নারী বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৪৬২টি। আগস্টের শেষদিন নারী বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ১০টিতে। আর জুলাইয়ের শেষদিন নারী বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে।
মাসটিতে কোম্পানির বিও হিসাব ৪৯টি বেড়েছে। আগস্টের শেষদিন এই বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০১টিতে। জুলাইয়ের শেষদিন কোম্পানি বিও হিসাব ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি।
এদিকে আগস্টের শেষ কর্মদিবস দেশে অবস্থারত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২ হাজার ৬৮০টিতে। জুলাইয়ের শেষ কর্মদিবস এই সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৩ হাজার ৮২২টি। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে দেশে অবস্থানরত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ১ হাজার ১৪২টি কমেছে। আর বিদেশী বা প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আগস্টে ৯৭টি কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৯৮৭টিতে। জুলাই মাসের শেষ কর্মদিবস প্রবাসীদের বিও হিসাব ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগস্ট মাসে সার্বিকভাবে বিও হিসাব কমলেও পুরুষ বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা কোম্পানির বিও হিসাবে বেড়েছে। এছাড়া আশার কথা হলো, আগস্টের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শেয়ারবাজারে বিও হিসাব কমলেও শেষে বিও হিসাব বেড়েছে।