পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা আবার পুরনো সার্কিটব্রেকারে ফিরছে। থাকছে না শেয়ারের মূল্যহ্রাসে ৩ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমা। শেয়ারের বাজারমূল্য ভেদে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। আবার একইভাবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই নিয়মে চলবে লেনদেন।
বাজারকে লেনদেনের স্বাভাবিক ধারায় ফেরাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯১৬তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পুঁজিবাজারে টানা দর পতন ঠেকাতে গত ২৪ এপ্রিল শেয়ারের মূল্য হ্রাসের সর্বোচ্চ সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দিয়েছিল অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিএসইসির কমিশন। তবে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সীমা রাখা হয়েছিল অপরিবর্তিত। তখন থেকে বাজার সংশ্লিষ্টরা কেনাবেচা ক্ষেত্রে সমতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ওই দাবি আরও জোরালো হয়।
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম কমিশন সভায় গত ২৪ এপ্রিলের নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে পুনর্বহাল করা হয় ২০২১ সালের ১৭ জুন তারিখে জারি করা সার্কিটব্রেকার সংক্রান্ত নির্দেশনাটি।
সার্কিটব্রেকারের সীমা
ওই নির্দেশনা অনুসারে, শেয়ারের মূল্যভেদে দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে। আর এই পরিবর্তনের সর্বনিম্ন সীমা হচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কোনো শেয়ারের দাম ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে এর মূল্য ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। শেয়ারের দাম ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হলে এর দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
শেয়ারের দাম ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হলে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হবে এর মূল্য পরিবর্তনের সীমা। অন্যদিকে শেয়ারের দাম ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হলে এর দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। শেয়ারের দাম ২০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হলে এর দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকার উপরে হলে ওই শেয়ারের মূল্য পরিবর্তন হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ