চেয়ারম্যানসহ সব স্বতন্ত্র পরিচালক পদত্যাগ করার পর যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে পরিচালক পদে নিয়োগ চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ। সংগঠনটির প্রস্তাব, ২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন অর্থাৎ মালিকানা বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ আলাদা করার আগে যেভাবে স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচন হতো, সেভাবে নিয়োগ হোক। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ এক কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, আগের মতো এ বিষয়ে নিজের একার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না বিএসইসি। স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা করেই সব স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগ হতে হবে। স্বতন্ত্র পরিচালকরা বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন, তাদের থেকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে হবে। গত বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ পদধারী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও এনবিআরের সদস্য (পলিসি) এবং সফল ব্যক্তিদের থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব করেছে ডিবিএ।
বিএসইসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ স্বতন্ত্র পরিচালক পদের প্রতিটি পদের জন্য দু’জনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব করবেন। ডিবিএ যেভাবে পদে থাকা ব্যক্তিকে নিয়োগের কথা বলছে, সেভাবে নিয়োগের সুযোগ আইনে নেই। চাইলে সরকারি সংস্থা বা ব্যবসায়িক সংগঠনের পদধারীদের থেকে যাদের তারা চায়, তাদের নামই সুনির্দিষ্ট করে প্রস্তাব করে পাঠাতে পারে। প্রস্তাবটি অবশ্যই স্টক এক্সচেঞ্জকে করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কারের উদ্দেশ্যেই স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ থেকে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। এখন স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই সব পদে নিয়োগ হবে। গত রোববার এ বিষয়ে ডিএসইর চার শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বিএসইসি আগের মতো নিজের একক ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না, আবার আইনও পরিপালন করবে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের মনোনয়ন ও পারিশ্রমিক কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে স্বতন্ত্র পরিচালকের নাম প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছে। স্বতন্ত্র পরিচালকরা পদত্যাগ করায় এ কমিটি এখন কার্যকর নেই। এই অবস্থায় কারা নাম প্রস্তাব করবে– জানতে চাইলে বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে সমস্যা হবে না। আইনেই বলা আছে, পর্ষদের এক বা একাধিক শূন্য পদের কারণে এর কোনো কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। পর্ষদে চার নির্বাচিত শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের বাইরে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের থেকে একজন এবং পদাধিকার বলে ব্যবস্থাপন পরিচালকও পর্ষদের পরিচালক। ফলে তাদের এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বাধা নেই।