1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
এস আলমদের সব ধরনের অর্থ উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন

এস আলমদের সব ধরনের অর্থ উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ঋণ সুবিধা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি তারা আমানতের টাকাও তুলতে পারবে না। এমনকি তাদের নামে থাকা কোনো ক্রেডিট কার্ড দিয়েও লেনদেন করা যাবে না।

এস আলম গ্রুপের মালিকানায় থাকা ছয় ব্যাংককে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ও কমার্স ব্যাংক।

এদিকে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংককে এস আলম গ্রুপের হাত থেকে মুক্ত করেছে।

এসব ব্যাংকসহ অন্য যেসব ব্যাংকে গ্রুপটির নামে-বেনামে ঋণ রয়েছে, সেগুলোতেও নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, যারা ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শন শুরু করেছে।

অন্যান্য ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের নামে-বেনামে যেসব ঋণ রয়েছে, সেগুলোর জন্যও একই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে গ্রুপটির নামে-বেনামে থাকা ঋণের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এত দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশ্রয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে টাকা তুলে নেয় গ্রুপটি। এখন সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তারাই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে আহসান এইচ মনসুর যোগ দেওয়ার পর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে

ব্যাংকগুলোকে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে–বেনামে কোনো নতুন ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে না। তাদের আগের ঋণগুলোও নবায়ন করা যাবে না। এসব প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপের নামে অনুমোদিত ঋণ ও ঋণসীমা বিদ্যমান থাকলেও তার বিপরীতে কোনো ধরনের উত্তোলন সুবিধা দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ এসব হিসাব থেকে নগদ উত্তোলন, স্থানান্তর বা অন্য যেকোনোভাবেই টাকা সরানো যাবে না। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান–গ্রুপের নামে অনুমোদিত ঋণপত্র বা গ্যারান্টির মেয়াদ থাকলেও এর বিপরীতে নতুন করে সুবিধা দেওয়া যাবে না।

তবে আগে ঋণপত্র খোলা হয়েছে, এমন দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব, রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটা অথবা টাকার আমানত হিসাবে থাকা অর্থ ব্যবহার করা যাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের যেকোনো ধরনের বিল কেনা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনো পুনঃ অর্থায়ন সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ক্রেডিট কার্ড থাকলে টাকা বা বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন বন্ধ করতে হবে।

তবে প্রতিষ্ঠানের যেকোনো হিসাবে টাকা জমা করা যাবে। এস আলমের নামে ও বেনামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে আমানত জমা থাকলে, তা থেকে কোনো ধরনের টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তবে সম্পূর্ণ নিজস্ব উৎস থেকে শতভাগ নগদ অর্থ জমা সাপেক্ষে ঋণপত্র খোলা যাবে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ