বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বড় প্রতারণা হয়েছে। শেয়ারবাজারে দুষ্টু লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্লেসমেন্ট সিস্টেম শুরু করেছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যেহেতু আন্ডাররাইটিং সিস্টেম আছে সেহেতু আমার নজরে প্লেসমেন্ট দরকারই নেই। একটা আইপিও যদি সাবস্ক্রাইব না হয় তাহলে আন্ডাররাইটার নেবে।
সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন।
আবু আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারে গত ১০ বছরে কোনো ভালো আইপিও আসেনি। রবি, ওয়ালটন ছাড়া বেশিরভাগই বাজে আইপিও। ভালো আইপিও আনার জন্য চেষ্টাও করা হয়নি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড হচ্ছে শেয়ারবাজারের প্রাণ, অথচ আমাদের দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অংশগ্রহণ শূন্য।
আবু আহমেদ আরো বলেন, সরকার তালিকাভুক্ত কোম্পানগুলোর করহার বাড়িয়েছে অথচ অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমিয়ে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার কেউ নেই। মাফিয়া গ্রুপগুলো এক হয়ে ব্যাংক লুট করেছে। পদ্মা ব্যাংক যখন ফেল করছিলো সেটাকে ফেল করতে দেওয়া হয়নি। সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংকসহ পাবলিকের অর্থ নিয়ে জোড় করে পদ্মাকে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাংকটি টেকেনি। এখন যে ন্যাশনাল ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিছে এটা আরও ১০ বছর আগে ভাঙা উচিত ছিল।
বর্তমান সরকারকে ইসলামী ব্যাংকে বাঁচানোর অনুরোধ জানিয়ে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদবলেন, ইসলামী ব্যাংকে এতো আমানত কেন এই ভেবে শকুনের নজর পড়েছিলো ব্যাংকটির প্রতি। তাইতো ২০১৭ সালে রাতের অন্ধকারে ব্যাংকটি নিয়ে গেছে।
ড. ইউনূস যদি ব্যর্থ হয় তাহলে বাংলাদেশ আর কখনো দাঁড়াবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের জন্য বোঝা হচ্ছে এই অর্থনীতিকে ম্যানেজ করা। যা ম্যানেজ করা কঠিন।