শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম, তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম, শেয়ারবাজারের আলোচিত ব্যক্তি আবুল খায়ের-(হিরু), ছায়েদুর রহমান, জাভেদ এ মতিনসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে।
বিএফআইউ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএসইসির পদত্যাগী চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম, তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম, শেয়ারবাজারের আলোচিত ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তা আবুল খায়ের-(হিরু), জাভেদ এ মতিন, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমান, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিজা চৌধুরী, মোঃ দেলোয়ার হোসাইন ও শরিফুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পরবেন না। এসব ব্যক্তিদের লেনদেন স্থগিত করার সময় প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে শিবলী রুবাইয়াতেকর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যেসব ব্যক্তি শেয়ার কারসাজি করে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জাভেদ এ মতিন, আবুল খায়ের হিরু ও ছায়েদুর রহমান।
আবুল খায়ের হিরু ও জাভেদ এ মতিন ছিলেন সাকিব আল হাসানের ব্যবসায়িক পার্টনার। সাকিব আল হাসান, জাভেদ এ মতিন ও হিরু শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা দুষ্টু চক্র। কারসাজির মাধ্যমে তাঁরা বিভিন্ন শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে তাদের এসব অনিয়মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশও পেয়েছে। কিন্তু শিবলী রুবাইয়াত নিজের স্বার্থে এগুলো আমলে নেননি। বরং গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।