শেয়ারবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের বাজার মূলধন বেড়েছে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পর সাত কর্মদিবসে কোম্পানিটির এই মূলধন বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের শেয়াবাজার ৮ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে গত ১৩ আগস্ট গ্রামীণফোনের লেনদেন বন্ধ ছিল। ৬ আগস্ট কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ৩৬ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। সবশেষ বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯০৬ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে কোম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়েছে ১৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা বা ৪০.২৫ শতাংশ।
এদিকে, গ্রামীণফোনের পর্ষদ চলতি ২০২৪ অর্থবছরে ১৬০ শতাংশ অন্তর্বর্তী ডিভেডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচ্য অর্থবছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ২৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৬২ পয়সা।
৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৮ পয়সায়। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৪ পয়সা।
২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ৫১০ কোটি ১ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬.৩১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১.০৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ২.৬৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ডিএসইতে সর্বশেষ গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭৭ টাকায়। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২২১-৩৮৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।