লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে রবির শেয়ারের দর পতন হয়েছে এমন প্রশ্নে রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, লভ্যাংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে শুধু লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ারকে বিবেচনা করলে হবে না। কোম্পানির পারফরমেন্স দেখতে হবে। শুধুমাত্র লভ্যাংশের দিকে তাকালে বিভ্রান্তিকর হবে। আর যারা শুধুমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে বিবেচনা করে, তারা বিচক্ষন বিনিয়োগকারী না।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ২০২০ সালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত পর্ষদ সভা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মাহতাব উদ্দিন বলেন, আমাদের যে পরিমাণ মুনাফা হয়েছে, তাতে করে অর্ধেক মুনাফা লভ্যাংশ আকারে দিতে গেলে হয়তো ১.৬৭ শতাংশ হারে দিতে পারতাম। আর পুরোটা দিতে গেলে ৩.৩৩ শতাংশ হতো। এটা অল্প লভ্যাংশ দিয়ে সবাইকে খুশি করতে পারতাম কিনা, বিষয়টি পর্ষদ সভায় আলোচনা হয়েছে। এছাড়া লভ্যাংশ না দেওয়ার কারন হিসেবে রয়েছে কোম্পানির পূণ:বিনিয়োগ করার বিষয়টি।
শুধুমাত্র সাধারন বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ ১০ শতাংশ দেওয়া সমস্যা হতো না এমন প্রশ্নে রবির সিইও বলেন, অন্যরা কিভাবে লভ্যাংশ দেয়, তার সঙ্গে আমরা তুলনায় যাব না। আমাদের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন কোম্পানিতে। কিন্তু ২০১৪ সালের পরে লভ্যাংশ নেন নাই। তারপরেও পর্ষদে শুধুমাত্র সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ দেওয়া যায় কিনা, বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রবির ‘নো’ ডিভিডেন্ডে খুশি হয়নি। তারা লভ্যাংশ প্রত্যাশা করেছিল। এটা স্বাভাবিক। বিএসইসির সঙ্গে এ বিষয়ে আমি একমত।
তিনি বলেন, আমাদের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে আগ্রহী। তবে শুধুমাত্র ১টি বছর দিয়ে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।
কোম্পানি সচিব শাহেদুল আলম বলেন, আমরা শেয়ারবাজারে এসেছি ২০২০ সালের শেষ সপ্তাহে। কিন্তু লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হতো পুরো বছরের উপর। এটাও একটা লভ্যাংশ ঘোষণা না করার কারন।