দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য নিট মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। অন্যথায় অতিরিক্ত করারোপের শাস্তির আওতায় পড়তে হবে। এই বিধানের পরেও রবি আজিয়াটার পরিচালনা পর্ষদ অতিরিক্ত করবাবদ জরিমানা দিতে রাজি, তারপরেও শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানে তারা অনীহা প্রকাশ করেছে।
(১৫ ফেব্রুয়ারি) রবি আজিয়াটার পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ০.৩৩ টাকা মুনাফা হয়েছে।
কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর পরিপত্র অনুযায়ি, পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।
রবি আজিয়াটার এমন পুজিবাজার বিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারনে কোম্পানিটির শীর্ষ ম্যানেজমেন্টকে তলব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদেরকে কমিশনে তলব করা হয়েছে। মুনাফা সত্ত্বেও ‘নো’ ডিভিডেন্ড সুপারিশের কারনে ব্যাখ্যা চেয়ে এই তলব করেছে কমিশন।
এর আগে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করায় এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শীর্ষ ম্যানেজমেন্টকে তলব করেছিল কমিশন। যাদেরকে কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। তবে রবি আজিয়াটার ক্ষেত্রে কমিশন কতটা শক্ত ভূমিকা পালন করতে পারে, তা সময় বলে দেবে।
এ বিষয়ে জানতে রবি আজিয়াটার সচিব মোহাম্মদ শাহিদুল আলমের ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।