গত বছরের এপ্রিল মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছিল, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক কোরাল মাছ সাদা পানিতে চাষ শুরু করছে কোম্পানিটি।
কোরাল উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশই মুনাফা থাকে। সে হিসেবে প্রাথমিক উৎপাদন থেকেই কোম্পানিটির মুনাফা বাড়বে প্রায় ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এমন বড় প্রত্যাশার কথা শুনিয়ে শেয়ার দর বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল কোম্পানিটির মালিকরা। এখন কোরাল মাছের সেই গল্প হাওয়ায় মিশে গেছে। এখন কোরাল মাছও নেই, কোরাল মাছের প্রকল্পও নেই। অপমৃত্যু হয়েছে কোরাল মাছে সেই গল্পের।
এবার বিনিয়োগকারীদের ঠকাতে নতুন গল্প শুরু করেছে বিচ হ্যাচারির মালিকরা। এবার বিনিয়োগকারীদের জানাচ্ছে, কোম্পানিটি বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে চাঁদপুরে জমি লিজ নিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) জানিয়েছে, সাদা মাছের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। এর লক্ষে কোম্পানিটি চাঁদপুরে ৩.৪৫ একর জমি লিজ নিয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে কোরাল মাছ উৎপাদনের গল্প শুনিয়ে শেয়ারের দর বাড়িয়ে কোম্পানিটির মালিকরা শেয়ারবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন নতুন করে শেয়ারবাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে নতুন করে গল্প শুরু করেছে।
২০২৩ সালের কোরাল মাছ প্রকল্প নিয়ে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আর কোনো তথ্য দেয়নি। বাজার সংশ্লিষ্টরা কোম্পানিটির কোরাল মাছ প্রকল্প নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসইর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা দাবি করছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করলে কোম্পানিটির মালিকদের অসৎ সব উদ্দেশ্য বেরিয়ে আসবে।