কমিশন সভা ব্যতীত শেয়ারবাজার সংক্রান্ত যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) বিরত থাকতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ৬টি শেয়ার ফ্লোর প্রাইস মুক্ত করার বিষয়ে অফিসের বাইরে থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবায়েত উল ইসলামের একক আদেশের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) অর্থমন্ত্রণালয় এই অনুশাসন প্রদান করেছে।
এর আগেও অধ্যাপক শিবলি রুবায়েত উল ইসলাম কমিশন সভাকে পাশ কাটিয়ে বাজার প্রভাবিত করে, এমন অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কিন্তু বাজার প্রভাবিত করে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কমিশন সভা ছাড়া চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে নেওয়ার নজির বা রেওয়াজ নেই। কিন্তু বিদায়ী চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত নিয়েছেন, যা নিয়ে রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সমালোচনা হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে শেয়ারবাজারের অংশীজনদের কাছে অধ্যাপক শিবলি রুবায়ত গণতান্ত্রিক অনুশীলনকে বাইপাস করে তার নিজের ইচ্ছায় আদেশ জারি করার জন্য অনেক সমালোচিত হয়েছেন। তার ওইসব আদেশ শেয়ারবাজারে কারসাজি ও অনিয়মের পথকে আরও প্রশস্ত করেছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে গোপন আস্তানা থেকে শিবলী রুবাইয়াত ইসলাম নির্দেশনা জারি করেন, ১১ আগস্ট রোববার থেকে বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে। আর ১৪ আগস্ট বুধবার থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে।
এই বিষয়ে কমিশন সদস্যরা কেউই অবগত ছিলেন না। তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান কোনো আলাপ-আলোচনাও করেননি। অভিযোগ রয়েছে, গোপন আস্তানায় থেকেও শিবলী রুবাইয়াত শেয়ারবাজারে খলনায়ক সালমান এফ রহমানকে শেয়ার বিক্রি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণায়ও ভালোভাবে নেয়নি। যে কারণে কমিশন সভা ব্যতীত বাজার সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত না নিতে বিএসইসির ওপর নতুন এই অনুশাসন প্রদান করেছে।