আজ ২০ মে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ব্যাপক দর পতন দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩৭.৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯৩.৬৫ পয়েন্টে। সূচক কমলেও টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। এই দরপতনের মধ্যেও ১৬ খাতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে।
এর মধ্যে- ব্যাংক, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং কাগজ ও প্রকাশনা খাত ছাড়া সবগুলো খাতেই টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ গত ১৯ মে এ খাতে লেনদেন হয়েছিল ৭৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে বস্ত্র খাতে। আজ এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ গত ১৯ মে এ খাতে লেনদেন হয়েছিল ৩৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। আজ এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ গত ১৯ মে এ খাতে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে লাইফ ইন্স্যুরেন্সর খাতে। আজ এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ গত ১৯ মে এ খাতে লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে- সিরামিক খাতে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, প্রকৌশল খাতে ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, বিবিধ খাতে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা, সেবা ও আবাসন খাতে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিমেন্ট খাতে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, আর্থিক খাতে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং চামড়া খাতে ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন বেড়েছে।