বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ১৫ খাতে। একই সময়ে লেনদেন কমেছে ৬ খাতে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন কমেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতে। সপ্তাজুড়ে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৫৪.৯৩ শতাংশ কম।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন কমেছে ব্যাংক খাতে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৫২.৪৩ শতাংশ কম।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন কমেছে আর্থিক খাতে। সপ্তাহজুড়ে এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৪ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৪১.০৭ শতাংশ কম।
অন্য ১২ কোম্পানির মধ্যে-
+৯ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৬৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৩৩.৯২ শতাংশ কম।
প্রকৌশল খাতে ৩৪৫ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৩২.১৪ শতাংশ কম।
বিবিধ খাতে ১১৬ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫২ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৩১.০৯ শতাংশ কম।
বস্ত্র খাতে ৪৯২ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০২ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ২৯.১৮ শতাংশ কম।
সিরামিক খাতে ৯৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ২৭.৫৮ শতাংশ কম।
পাট খাতে ৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ২৫.০০ শতাংশ কম।
সেবা ও আবাসন খাতে ৫৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ২৩.০৮ শতাংশ কম।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৮৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২২৪ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ২১.১৯ শতাংশ কম।
চামড়া খাতে ৬৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ১৮.৫৩ শতাংশ কম।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩৬৫ কোটি ২২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৫.০৫৪ শতাংশ কম।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭৭ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ লাখ টাকা বা ১৪.৮২ শতাংশ কম।
সিমেন্ট খাতে ৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ২.২২ শতাংশ কম।