1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
  3. [email protected] : muzahid : muzahid
  4. [email protected] : woishi : woishi
দেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

দেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান মো. আসিফ ইব্রাহীম বলেছেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে। অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে আসবেন। এর মাধ্যমে সুষম বণ্টন, পণ্যের গুণগত মান এবং ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ হবে।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নিয়ে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ ইব্রাহীম এসব কথা বলেন। এই সময় আলোচনায় অংশ নেন সিএসইর এমডি এম সাইফুর রহমান মজুমদার।

সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ মূলত হচ্ছে একটি পণ্যের জন্য স্ট্রাকচার্ড প্লাটফর্মে ফিউচার এবং স্পটের মাধ্যমে শো করা। এর মাধ্যমে ফিউচার পণ্যগুলো বিক্রি করার একটা গ্যারান্টি থাকবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এটার একটা প্রাইস ডিসকভারি ম্যাকানিজম থাকবে। এই ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে। এই কমোডিটি সিস্টেমটা যখন বাংলাদেশে ফুললি ইমপ্লিমেন্টেড (পুরোপুরি বাস্তবায়ন) হয়ে যাবে, তখন এটার সঙ্গে প্রান্তিক কৃষক, অন্যান্য কমিউনিটি, আমদানি-রপ্তানিকারক-ব্যাংক, সবাই এটার সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য একটি ন্যাশনাল প্রাইস ডিসকভারি ম্যাকানিজম সিস্টেম তৈরি হবে। যেটার বড় অভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এতে আমাদের অর্থনীতিতে মধ্যস্থতাভোগীদের যে দৌরাত্ম্য দেখতে পাই, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হলে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।

আসিফ ইব্রাহীম আরও বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ থেকেও প্রাচীনতম ধারণা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। বিশ্বে প্রথমে কিন্তু কমোডিটি এক্সচেঞ্জটা স্থাপিত হয়েছে। এরপর লিস্টেডের মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পশ্চিমা বিশ্বে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে গিয়েছিল, যেমন শিকাগো মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব বড় বড় ডেভেলপড ইকোনমি আছে সেখানে এবং ইউরোপিয়ান দেশগুলোতেও ভালো প্রতিষ্ঠা লাভ করে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। আমাদের এই অঞ্চলে চীন ও ভারতে এই যাত্রাটা প্রথম শুরু হয় এবং তারা ক্রমান্বয়ে বেশ ভালো সাকসেসফুল ইমপ্লিকেশনগুলো দেখতে পায় তাদের অর্থনীতিতে।

আলোচনায় সিএসইর এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, মূলত যে কোনো স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য লাগে একটি ইলেকট্রনিক মার্কেটপ্লেস প্রোভাইড করা, যেটার সাপোর্টে থাকবে ট্রান্সফারেন্স রেগুলেটরি কাঠামো। ইক্যুইটি মার্কেটের রেগুলেটরি যেমন দরকার, আমরা যখন কমোডিটি আনবো তখন রেগুলেটরি পার্সপেক্টিভের যে সমস্ত জায়গায় প্রয়োজন হবে রেগুলেটরি কাঠামোগুলো আমরা রিঅ্যারেঞ্জ করবো এবং সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। আমরা আশা করি আমাদের ইক্যুইটি মার্কেটের যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সেটা কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ