শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ২০২৩ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই পর্যন্ত ৩৪টি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী আলোচ্য অর্থবছরে ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৬ ব্যাংকের। ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংক।
একই সময়ে ডিভিডেন্ড কমেছে ৬ ব্যাংকের, ৩টি ব্যাংক ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ডিভিডেন্ড অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। এছাড়া, এবি ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হলেও তথ্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে এনআরবি ব্যাংক এবারই প্রথমবার ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে-
ব্র্যাক ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কোম্পাটি ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ শতাংশ।
সিটি ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কোম্পাটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১০ শতাংশ।
এনসিসি ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছরেও ব্যাংকটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টকসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ২ শতাংশ।
ওয়ান ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ৭ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছরেও ব্যাংকটি ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ২ শতাংশ।
পূবালী ব্যাংক
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ব্যাংকটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১২.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ব্যাংকটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১২.৫০ শতাংশ।
এদিকে, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এটাই কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রথম ডিভিডেন্ড।
ডিভিডেন্ড কমে যাওয়া ৬টি ব্যাংক হলো- ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি।
ঢাকা ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কোম্পাটি ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড কমেছে ২ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ব্যাংকটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড কমেছে ২ শতাংশ।
এনআরবিসি ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছরেও ব্যাংকটি ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৪.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড কমেছে ১ শতাংশ।
প্রিমিয়ার ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছরেও ব্যাংকটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টকসহ মোট ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড কমেছে ৭.৫০ শতাংশ।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ও ৩ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের অর্থবছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড কমেছে ১ শতাংশ।
এসবিএসি ব্যাংক
ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের অর্থবছরে ব্যাংকটি ৩.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড কমেছে ১.৫০ শতাংশ।