বড় দর পতনের কারণে গতকাল ডিএসইতে কমেছে সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। এদিন লেনদেন হওয়া শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় মাত্র ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। মূলত বিক্রয় চাপ থাকার কারণেই গতকালের বাজারচিত্র এমন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয় ৩৫৭টির। এর মধ্যে দর কমে ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। অন্যদিকে দর কমতে দেখা যায় ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। বাকি ৭৫ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর ছিল অপরিবর্তিত।
খাতভিত্তিক লেনদেনে দেখা যায়, সব খাতেরই সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পেয়েছে। তবে খাতভিত্তিক লেনদেনে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় চাপ ছিল বিবিধ খাতে, যে কারণে দিন শেষে মোট লেনদেনে এগিয়ে যায় খাতটি। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অংশগ্রহণ দেখা যায় ২২ শতাংশের কিছু বেশি। পরের অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে এ খাতটির একক অবদান দেখা যায় ১৯ শতাংশের কাছাকাছি। এর পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেনে অংশগ্রহণ দেখা যায় ১৮ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে আর্থিক খাতের অবদান দেখা যায় ১১ দশমিক চার শতাংশ।
অন্যদিকে দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমতে দেখা যায় ৯৪ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৬৯৫ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি গতকাল ডিএসইতে লেনদেনও কমে যেতে দেখা যায়। দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ কোটি ছিল ব্লক মার্কেটের। এ মার্কেটে লেনদেনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৫টি কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয় এসএস স্টিলের। ব্লক মার্কেটে গতকাল এ কোম্পানির মোট চার কোটি তিন লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। পরের অবস্থানে ছিল বার্জার পেইন্টস। ব্লক মার্কেটে এ প্রতিষ্ঠানের মোট দুই কোটি ৬৪ লাখ টাকার হাত বদল হতে দেখা যায়।