ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৪ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১টি শেয়ার মোট ১১ হাজার ৬৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ৮০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৩ লাখ ১৯ হাজার ১৫৯টি শেয়ার ৪ হাজার ৫৩৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ কোটি ১২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেযারপ্রতি লোকসান এক পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান তিন পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৫ টাকা ৯৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ হয়নি, আগের বছর একই সময়েও কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল না সেন্ট্রাল ফার্মার।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ হয়নি। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেও কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের বেড়েছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। নিউলাইন ক্লথিংস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ।