মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার শেয়ার লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে টানা বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রতিদিনই শেয়ারটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় দর বাড়ছিল। এতে কোটি কোটি শেয়ার কেনার জন্য ক্রেতা আগ্রহ দেখালেও বিক্রেতা পাওয়া যেত না। এভাবে শেয়ারটির ৭০ টাকা পর্যন্ত চলে। তবে সেই দর ৫৫ টাকায় নেমে এলেও কোটি কোটির ক্রেতা এখন নেই।
লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ থাকা রবির ১০ টাকার শেয়ারটি নানা প্রচারণার মাধ্যমে ১৪ জানুয়ারি বেড়ে হয় ৭০.১০ টাকা। অর্থাৎ ২২ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছিল ৬০.১০ টাকা বা ৬০১ শতাংশ। তবে লেনদেন প্রায় ৮০ টাকা পর্যন্ত দরে হয়েছিল।
ওই সময়ও রবির কোটি কোটি শেয়ার কেনার জন্য ক্রেতা ছিল। কিন্তু সেই শেয়ারটি এখন ২১ শতাংশ কমে ৫৫ টাকায় নেমে এলেও ক্রেতা পাওয়া যায় মাত্র কয়েক হাজারের। একইসঙ্গে ৭০ টাকায় বিক্রেতা না থাকলেও এখন ৫৫ টাকাতেই অনেক বিক্রির অর্ডার দেখা যায়।
অথচ এই সময় কোম্পানিটির ব্যবসায় কোন পরিবর্তন আসেনি। নতুন কোন নেতিবাচক খবরও নেই। তারপরেও একই শেয়ারে কয়েকদিনের ব্যবধানে ভিন্ন চিত্র।
এই ফাকেঁ বড় মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সাধারন বিনিয়োগকারীরা রবির আইপিওতে ১টি বিও থেকে ৫০০ শেয়ার পেলেও প্রাতিষ্ঠানিকরা পেয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার।
তারা কোম্পানির অবস্থাও ভালো করে জানেন। যে কারনে মুনাফা নিয়ে কেটে পড়েছেন। এখন শেয়ারটি সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে বেশি পড়ায়, আগ্রহও কমে পড়েছে।