1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
বিএসইসির স্ক্যানারে গোল্ডেন হার্ভেস্টের রাইট শেয়ার ফান্ড
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

বিএসইসির স্ক্যানারে গোল্ডেন হার্ভেস্টের রাইট শেয়ার ফান্ড

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪

পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় হিমায়িত খাবার এবং আইসক্রিম বিক্রেতা কোম্পানি গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৯ সালে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি তহবিলের ৭০ কোটি টাকা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘ চার বছর পেরিয়ে গেলেও তহবিলের পুরোপুরি অর্থ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি ।

কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহিত অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ব্যয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোল্লা মোঃ মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল ও সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান রনি।

তদন্ত কমিটি কোম্পানির পুরো রাইট শেয়ারের অর্থ ব্যবহার পর্যালোচনা করবে। এটি কোম্পানির তালিকাভুক্তির পর থেকে সংশ্লিষ্ট পক্ষের লেনদেনও পরীক্ষা করবে। তদন্ত কমিটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০১৯ সালে, কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৪২০ টাকা কোটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করেছিল। এটি বিদ্যমান চারটি শেয়ারের জন্য তিনটি রাইট শেয়ারের অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করেছে যার প্রতিটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।

২০১৩ সালে স্টক মার্কেট তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে কোম্পানিটি আশাব্যঞ্জক ব্যবসা দেখিয়েছিল। জুন ২০১১ সালে, এর রাজস্ব ছিল ৫২.৬৫ কোটি টাকা, এবং কর পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ১৩.২৩ কোটি টাকা, যা গোল্ডেন হার্ভেস্টের ব্যবসার জন্য সেরা বছর ছিল।

তারপরে ২০১৮ সালে, কোম্পানিটি তার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য শেয়ার ইস্যু করার জন্য আবেদন করে এবং এটি অক্টোবর ২০১৯ বিএসইসির অনুমোদন লাভ করে। তবে, রাইট শেয়ার ফান্ড পাওয়ার পর, এর রাজস্ব এবং নেট লাভ হ্রাস পায়। ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে, কোম্পানির রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এটি বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি থেকে তাদের প্রত্যাশিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কোম্পানির আয় দাঁড়িয়েছে ৫৩.৬২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮.০৬ কোটি টাকা। একই বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে এর আর্থিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮.২৩ ​​কোটি টাকা, এবং এর নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩.১৪ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে, কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ষুপারিশ করেছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গোল্ডেন হার্ভেস্টের প্রতিটি শেয়ারের দর ১৮ টাকায় বন্ধ হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ