1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৩১.০৭%
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৩১.০৭%

  • পোস্ট হয়েছে : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে সার্বিক সূচক কমেছে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময় ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৩১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ১১৩ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৯৪ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৩০১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১০টির।

গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বীকন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকার টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, বেক্সিমকো ফার্মা, রেনাটা, গ্রামীণফোন, আইএফআইসি ও ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ২ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৩১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৫৫৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৮১১ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৮ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর সিরামিক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্ন হয়েছে কেবল পাট খাতে। এ খাতে রিটার্ন এসেছে দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল কাগজ, সিরামিক ও সাধারণ বীমা খাত। এ তিন খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৭ শতাংশ, ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে ১৭ হাজার ৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৭ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ কমে ১০ হাজার ২৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১০ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৭৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২৪৪টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ