1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
  3. [email protected] : muzahid : muzahid
  4. [email protected] : woishi : woishi
অডিটের মান বাড়াতে নীতিমালা তৈরিতে বিএসইসির উদ্যোগ
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

অডিটের মান বাড়াতে নীতিমালা তৈরিতে বিএসইসির উদ্যোগ

  • পোস্ট হয়েছে : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
bsec-economic

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা বা অডিট করে থাকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্ধারণ করা অডিট প্রতিষ্ঠানগুলো। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন এসব অডিটর ও অডিট প্রতিষ্ঠান ছাড়া নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই। তাই ওইসব অডিট ফার্ম ও অডিটরের মান বাড়ানো এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।

এর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন অডিট করার জন্য অডিট প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা ছিল না। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেস টু কেস অডিট প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হতো। তাই এবার অডিটর ও অডিট প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে নীতিমালা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আল মামুন মৃধা, সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম ও সহকারী পরিচালক তন্ময় কুমার ঘোষ। এ কমিটির আহ্বায়ক হলেন- বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন তন্ময় কুমার ঘোষ।

বিএসইসির জারি করা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, “অডিট ফার্ম ও অডিটর তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশিকা” প্রণয়নের লক্ষ্যে বিএসইসির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হলো। গঠিত কমিটি আলোচ্য বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

এ বিষয়ে শনিবার (৯ মার্চ) রাতে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, অডিট ও অডিটর প্রতিষ্ঠান এতোদিন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনায় ছিল। এসব প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে নীতিমালার কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা ছিল না। তবে এখন অডিটর প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কমিশন একটি উদ্যোগ নিচ্ছে। কমিশন চাচ্ছে এ বিষয়ে একটা নীতিমালা থাকা জরুরি। এ নীতিমালায় এসব প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকবে। এসব শর্ত মেনেই অডিট ফার্ম এবং অডিটররা বিএসইসির তালিকাভুক্ত হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হলে তা আগামীতে প্রকাশ করা হবে। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠানের মান আরও উন্নত হবে।

তথ্য মতে, দেশের পেশাদার হিসাববিদদের সংস্থা দ্যা ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সদস্যভুক্ত ২০৫টি অডিট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টি অডিট প্রতিষ্ঠান বর্তমান বিএসইসি অডিটর প্যানেলে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানই কেবল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন অডিট করে থাকে।

সর্বশেষ বিএসইসির প্রকাশিত ৪৫টি অডিট ফার্মের তালিকায় রয়েছে- এ হক এন্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এ কাশেম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, আহসান মনজুর অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, আহমেদ মাশুক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, অনিল সালাম ইদ্রিস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এ ওহাব অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, একনাবিন চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আশরাফ উদ্দিন অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, বসু ব্যানার্জি নাথ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফেমস অ্যান্ড আর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হাবিব সরোয়ার ভুঁইয়া অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হক ভট্টাচার্য দাস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম জাহিদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কে এম আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কে এম হাসান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, খান ওহাব শফিক রহমান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম জে আবেদীন অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম এম রহমান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মাশিহ্ মুহিত হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম জেড ইসলাম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, অক্টোখান চ্যার্ট্যার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, পিনাকি অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, রহমান রহমান হক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, শফিক বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, সাইফুল সামসুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, স্নেহাশিষ মাহমুদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এস কে বরুয়া অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, তোহা খান জামান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, জোহা জামান কবির রশিদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ম্যাবস অ্যান্ড জে পার্টনার্স চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হুসাইন ফরহাদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, নুরুল ফারুক হাসান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং মালেক সিদ্দিক ওয়ালি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

ইতিপূর্বে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যে কোনো কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন অডিট করারর জন্য কোনো অডিট প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারতো। এ বিষয়ে তেমন কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। কিন্তু কিছু অডিট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতিবেদনে কারসাজি করার অভিযোগ উঠে। তাই ২০১৬ সাল থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিএসইসি প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিরীক্ষকের তালিকা বা প্যানেল অব অডিটর্স তৈরি করে। কিছু দিন পর অডিটর প্যানেলের পুনর্গঠিত হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে থাকে বিএসইসি, যা ধারাবাহিক ভাবে চলমান রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নীতিমালা না থাকায় নতুন করে তা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ