সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস আজ রোববার (০৩ মার্চ) শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে। বড় মূলধনী কয়েকটি কোম্পানির চাপে এদিন বেসামাল অবস্থায় পড়ে যায় উভয় শেয়ারবাজার। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৩৯.৩৪ শতাংশ। এরমধ্যে বড় মূলধনী মেগা কোম্পানি গ্রামীনফোনই ডিএসই সূচকের পতন ঘটিয়েছে প্রায় ১৭ পয়েন্ট। গ্রামীণফোনের সঙ্গে বড় পতনে যুক্ত হয়েছে স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, অরিয়ন ফার্মা, অরিয়ন ইনফিউশন, প্রাইম ব্যাংক ও ইউসিবি ব্যাংক। এসব কোম্পানি জোট বেঁধে ডিএসইর সূচক কমিয়েছে আরও ২২ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ লেনদেনের শুরুতে গ্রামীণফোনের শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দামে অর্থাৎ ৮.৭৫ শতাংশ দাম কমে ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়। এতে ডিএসইর সূচকে চাপ পড়ে প্রায় ১৭ পয়েন্ট। তবে লেনদেনের শুরুতে এমন চাপে ডিএসই সূচক কিছুটা নেতিবাচক থাকলেও লেনদেনের ৭ মিনিটের মধ্যে সূচক আগের দিনের ওপরে উঠে লেনদেন হতে থাকে।
এদিকে কিছুক্ষণ পর গ্রামীণফোনের শেয়ারেও ক্রেতাদের ফিরতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে মেগা শেয়ারটির ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকে। কিন্তু আধা ঘন্টা পর গ্রামীণফোনের শেয়ার আবারও ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এদিকে, বেলা প্রায় ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর লেনদেন আগের দিনের সূচকের কাছাকাছি অবস্থায় দেখা যায়। কিন্তু সোয়া ১১টায় সূচকের অবনতি ঘটতে থাকে। এই সময়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে কিছু বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দামে পতন দেখা যায়। দুপুর ১২টার পর সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩২ পয়েন্ট কমে যায়। তারপর সাড়ে ১২টার পর সূচকের কিছুটা উন্নতি হতেও দেখা যায়। এই সময়ে সূচকের পতন আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্টে এসে স্থির হয়। কিন্তু শেষ বেলা বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর চাপে উভয় বাজার বড় পতনের ঘরে চলে যায়।
রোববারের বাজার পর্যালোচনা
আজ রোববার (০৩ মার্চ) ডিএসইর প্রধান প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯.৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৯.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৩ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৯৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ২৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৮ কোটি ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
আজ সিএসইতে ২৬০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ২৬১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৮৮টির, কমেছিল ১৩৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের।