দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকেই মুনাফায় দূর্বল হলেও মোবাইল অপারেটর ও বহূজাতিক কোম্পানি হিসেবে লেনদেনের শুরু থেকেই সাধারন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় রবি আজিয়াটা। যাতে করে টানা দর বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাধারন বিনিয়োগকারীদের এই আগ্রহের মধ্যে কয়েক গুণ লাভে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবি আজিয়াটার আইপিও বিজয়ীদের মধ্যে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ১টি বিও হিসাবের বিপরীতে ৫০০ করে শেয়ার পেয়েছেন। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার। যাতে কোম্পানিটির অস্বাভাবিক উত্থানে সবচেয়ে বেশি লাভবানও হয়েছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় সাধারন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকাকালীন সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছে। যারা গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৩টি বা তাদের ধারনকৃত শেয়ারের ১৮.২৭ শতাংশ বিক্রি করে দিয়েছে। অর্থাৎ তারা ২৯.৮০ টাকার মধ্যেই রবির এই পরিমাণ বিক্রি করে দিয়েছে।
রবির আইপিওতে ৪০ শতাংশ কোটায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০টি শেয়ার পেয়েছিল। যা ছিল কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধনের ২.৯৬ শতাংশ। তবে ৩১ ডিসেম্বর ওই শেয়ার ধারন বা মালিকানা ২.৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৩টি শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে।
যাতে করে ৩১ ডিসেম্বর রবি আজিয়াটায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারন নেমে এসেছে ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৭টিতে।
এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা রবি আজিয়াটা থেকে বেরিয়ে গেলেও সাধারন বিনিয়োগকারীরা জড়াচ্ছে। যাতে করে রবির লেনদেন পূর্ব ৭.০৪ শতাংশ শেয়ার ধারন ৩১ ডিসেম্বরে বেড়ে হয় ৭.৫৩ শতাংশ।
ওই ৩১ ডিসেম্বরের পরে রবির শেয়ার দর দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যে শেয়ারটি প্রায় ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ৬১.৭০ টাকায় রয়েছে। এই অস্বাভাবিক উত্থানের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাদের ধারনকৃত রবির বাকি শেয়ারগুলোর মধ্যে কি পরিমাণ বিক্রি করেছেন, তা আগামি মাসে ডিএসইর ওয়েবসাইটেই জানা যাবে।
উল্লেখ্য, রবি আইপিওতে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করেছে। এরমধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি ইস্যু করা হয়েছে। বাকি ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০টি শেয়ারের মধ্যে ৪০ শতাংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইস্যু করা হয় ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০টি শেয়ার।