প্রতিবছর বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের। ২০১৭ সাল থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশের নিচে ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরমধ্যে বেশির ভাগ বছরই ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কিন্তু ২০২৩ সালের জন্য কোম্পানিটি মাত্র ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির মুনাফায় বড় পতন হয়েছে। যে কারণে ডিভিডেন্ডেও বড় পতন হয়েছে। তারপরও কোম্পানিটি মুনাফার মাত্র ৪৮ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিভিডেন্ড হিসাবে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছে।
৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের সামিট পাওয়ারের ব্যবসায় শেয়ার প্রতি ২ টাকা ০৭ পয়সা হিসেবে ২২১ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড হিসেবে শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে মোট ১০৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা মুনাফার ৪৮ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণ করা হবে। বাকি ১১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৫২ শতাংশ কোম্পানিতে রেখে দেওয়া হবে।
এদিকে কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ মুনাফা কমেছে। কোম্পানিটির আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৮৭ পয়সা ছিল। ওই বছর শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। যা ছিল ২০১৭ সালের পর সর্বনিম্ন ডিভিডেন্ড।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার ওই বছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এরপর ২০০৬ সালে ২০ শতাংশ বোনাস, ২০০৭ সালে ২০ শতাংশ বোনাস, ২০০৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস, ২০০৯ সালে ২৫ শতাংশ বোনাস, ২০১০ সালে ৩০ শতাংশ বোনাস, ২০১১ সালে ২৫ শতাংশ বোনাস, ২০১২ সালে ২০ শতাংশ বোনাস, ২০১৩ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস, ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ বোনাস, ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ বোনাস, ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ ক্যাশ, ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ ক্যাশ, ২০১৯ সালে ৩৫ শতাংশ ক্যাশ, ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ ক্যাশ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০২২ সালে ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৩.১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮.৬৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩.৬৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.৫০ শতা্ংশ।