1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
ঋণে জড়িয়ে ব্যবসা নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে জেমিনি সী ফুড
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

ঋণে জড়িয়ে ব্যবসা নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে জেমিনি সী ফুড

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
gemini ses food

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেমিনি সী ফুড উৎপাদন সক্ষমতার ব্যবহার করতে পারছে না। তারপরেও কোম্পানিটি মূলধনের কয়েকগুণ বেশি ঋণে জড়িয়ে বড় লোকসানের কবলে পড়েছে। এসব পরিস্থিতি কোম্পানিটির ব্যবসা টিকিয়ে রাখাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, ক্রয়ের তুলনায় জেমিনি সী ফুডে মজুদ পণ্যের পরিমাণ খুবই বেশি। এছাড়া উৎপাদন সক্ষমতা, বিক্রিত পণ্যের ব্যয় ও বিক্রির তুলনায় এর পরিমাণ খুবই বেশি। যা বছরের পর বছর বাড়ছে। কিন্তু মজুদ পণ্যের অবিক্রিত অংশের জন্য কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি। যাতে করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সম্পদ বেশি ও লোকসান কমিয়ে দেখানো হয়েছে।

এদিকে কোম্পানিটিতে ২০২০ সালের ৩০ জুনের আর্থিক হিসাবে ২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখানো হয়েছে। যা কোম্পানিটির মোট সম্পদের ৫৫.১৪ শতাংশ। কিন্তু মজুদ পণ্যের সংখ্যা, মান ও মূল্যের বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষককে কোন টেকনিক্যাল স্ট্যাটাস সরবরাহ করেনি। এছাড়া করোনার কারনে স্বশরীরে মজুদ পণ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি নিরীক্ষক।

জেমিনি সী ফুডের অ্যাডভান্স, ডিপোজিট ও প্রি-পেমেন্টস প্রতিবছর বাড়ছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ৩০ জুন অ্যাডভান্স, ডিপোজিট ও প্রি-পেমেন্টস দাড়িঁয়েছে ৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এরমধ্যে কাচাঁমাল সরবরাহকারীকে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান রয়েছে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অগ্রিম প্রদানের মাধ্যমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালকে (চলতি মূলধন) বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। যা কোম্পানির মুনাফা প্রভাব ফেলছে। একইসঙ্গে কোম্পানির ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।

বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদন সক্ষমতা খুবই নাজুক অবস্থায় বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। যা আগের বছরের থেকে ১৫.১৪ শতাংশ কমে এসেছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির সক্ষমতা নেমে এসেছে ১৯.৪১ শতাংশে। এ বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষককে জানিয়েছে, করোনায় অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়ায় চাহিদা কমে গিয়ে এমনটি হয়েছে। এছাড়া চলতি মূলধনের ঘাটতিও উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাসের কারন হিসেবে রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে নিরীক্ষক জানিয়েছে, আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই উৎপাদন সক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যবহার করতে হবে। কারন কোম্পানিটির সংরক্ষিত আয় (রিটেইন আর্নিংস) এরইমধ্যে ২০২০ সালের ৩০ জুন ঋণাত্মক দাড়িঁয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। এছাড়া ৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানির ইক্যুইটি ও দায়ের ৯৫.৫১ শতাংশ লিজিং ফাইন্যান্স রয়েছে।

এসব বিষয়গুলো কোম্পানির ব্যবসা টিকিয়ে রাখার অনিশ্চয়তা তৈরী করেছে বলে মতামত দিয়েছেন নিরীক্ষক।

লোকসানে এবং ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ঝুকিঁতে থাকলেও জেমিনি সী ফুডের শেয়ার দর পিছিয়ে নেই। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে কোম্পানির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৪৪.৩০ টাকায়। অথচ কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৯.৮৩ টাকা লোকসান হয়েছে। যাতে করে ওই অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০) শেয়ারপ্রতি ৪.৬৭ টাকা লোকসান হয়েছে। তারপরেও শুধুমাত্র ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার মতো স্বল্প মূলধনী কোম্পানি হিসেবে শেয়ারটি আকাশচুম্বি অবস্থায় রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ