1. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক : ইকোনোমিক বিডি প্রতিবেদক
  2. [email protected] : ইকোনোমিক বিডি : ইকোনোমিক বিডি
বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরল ১৬ হাজার কোটি টাকা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরল ১৬ হাজার কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
DSE-CSE

বিদাযী সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে লেনদেন পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে ।তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা । সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ডিএসইর সব কটি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ৫৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২৪.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ১০.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২১.৪৫ পয়েন্ট বা ১.০১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ২.১৭ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ।

সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পাশপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৪৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৮৯০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৮৪.৮৬ শতাংশ।

এ ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৪.৮৬ শতাংশ বা ৭৭৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৯১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৪০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪০টি কোম্পানির, কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক ৩.৭৯ শতাংশ ও সিএসসিএক্স সূচক ৩.৭৫ শতাংশ  বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৮ হাজার ২৯৫.৯০ পয়েন্টে ও ১০ হাজার ৯৫১.৭১ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসআই সূচক ২.৬১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১.২১ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ২.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১৭২.৫২ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৩৮.২৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৮৯.৪৫ পয়েন্টে।

তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ২৯।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮৬টির, কমেছে ৫৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।

এর আগে পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে গত ১৮ জানুয়ারি বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি সেখান থেকে ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরও ৬টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় বিএসইসি। এর মধ্যে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অরিয়ন ফার্মা ও রেনাটা ফ্লোর প্রাইস ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাতিল কার্যকর হয়েছে। তবে রেকর্ড ডেটের পর বিএটিবিসি, জিপি ও রবির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইসও তুলে নেয়া হবে।

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন..

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ