দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম রেজাউল আলম কোম্পানিটির এক লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। তার কাছে বর্তমানে কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৯০ লাখ শেয়ার রয়েছে, যা থেকে ঘোষণাকৃত শেয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারদরে বিক্রি করবেন এ উদ্যোক্তা পরিচালক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১০ হাজার ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মোট ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৯৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সায়, যা আগের হিসাববছর শেষে ছিল ৩৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪২ টাকা ১৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ১৬ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা (সম্পদ পূনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৯১ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১১ টাকা ৫৯ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২০৮ টাকা ১৬ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৯৬ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮২৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১২ হাজার ৫০৬টি শেয়ার মোট ৪২০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর এক কোটি তিন লাখ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬৮৫ টাকা থেকে এক হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।